পেনশন প্রক্রিয়ায় গতি আনতে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ সেচ-জলসম্পদ দপ্তরের
সরকারি পেনশন। অবসরের পর যা নিয়ে কমবেশি সকলেই উদ্বেগে থাকেন। কারণ, কারও ক্ষেত্রে এটি সহজে চালু হয়ে যায়, আবার কাউকে দীর্ঘদিন প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। পেনশন পেতে তাঁদের ভালোরকম হয়রানির শিকার হতে হয়। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ দপ্তর। পেনশন বিতরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে দপ্তরের কর্মী ও অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সেচ ও জলসম্পদ দপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি ফেডারেশনও।
চাকরি জীবন শেষে অবসরপ্রাপ্তদের কাছে পেনশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ জীবনে বেঁচে থাকার অন্যতম ভরসা। কিন্তু, পেনশন পেতে গিয়ে অনেককেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। ফেডারেশনের দাবি, একজন কর্মী অবসরের পর যদি সুষ্ঠুভাবে পেনশন পান, সেক্ষেত্রে তাঁর নিজের দপ্তরের অনেক ভূমিকা থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে সঠিক সময়ে পেনশনের নির্ভুল ফাইল উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয় না। তাতে সমস্যা তৈরি হয়। তাই পেনশন অনুমোদন থেকে তার বিতরণ, অর্থাৎ পেনশন দেওয়া পর্যন্ত একটা লম্বা সরকারি প্রক্রিয়া থাকে। কর্মীরা যে সরকারি দপ্তরে চাকরি করেন, সেই দপ্তরকেই এই প্রক্রিয়া করতে হয়। তাই যাঁরা পেনশনের ফাইল দেখাশোনা করেন, তাঁদের প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে কাজটি সহজে এবং দ্রুত হয়। যেহেতু এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে, তাই অনলাইনেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রতিটি সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারদের ‘মাস্টার ট্রেনার’ মনোনীত করতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি ফেডারেশনের মেন্টর মনোজ চক্রবর্তী বলেন, নিয়ম অনুসারে অবসরের দিন থেকেই পেনশন চালুর কথা। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই তা হয় না। একজন কর্মী যাতে ঠিকভাবে পেনশন পান, সে জন্য তাঁর নিজের দপ্তরের ভূমিকা অনেক। তাই এই প্রশিক্ষণের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আমরা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি রাখছি, প্রতিটি সরকারি দপ্তর যেন এভাবে নিজেদের কর্মী-অফিসারদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়। তাহলে কোনও সরকারি কর্মীকে অবসরের পর পেনশন পেতে হয়রানির শিকার হতে হবে না।