আফগানিস্তানে আটকে কার্শিয়াংয়ের ২ বাসিন্দা, উদ্বিগ্ন পরিবার
গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতে। আর তারপর নিজেরাই পড়লেন চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায়। এই মুহুর্তে তালিবানের কবজায় থাকা আফগানিস্তানে (Afghanistan) আটকে পড়েছেন কার্শিয়াংয়ের ২ বাসিন্দা। শেখর গুরুং ও সুনীল সুব্বা নামে দু’জনের খোঁজ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধারের সবরকম চেষ্টা চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
গত জুলাই মাসে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন কার্শিয়াংয়ের (Karseong) বাসিন্দা শেখর গুরুং। পেশার স্বার্থেই ‘কাবুলিওয়ালা’র দেশে যাওয়া তাঁর। সেখানেই বছর খানেক ধরে কাজ করছিলেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল একমাত্র ইন্টারনেট। কখনও হোয়াটসঅ্যাপ কলে (WhatsApp call) কথাবার্তা হতো। কিন্তু কয়েকদিন ধরে আর শেখর গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। তারপর খবরে দেখেন, আফগানিস্তানে কীভাবে তালিবানি (Taliban) শাসন কায়েম হচ্ছে। তাতেই চিন্তা বাড়ে পরিবারের। প্রায় ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না।
একই পরিস্থিতি কার্শিয়াংয়ের সুনীল সুব্বার পরিবারেরও। সুনীল সুব্বার সঙ্গে গত সোমবার যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন তাঁর আত্মীয়রা। তারপর থেকে সব শূন্য। সুনীল রয়েছেন কাবুলে। আর সেখানে এই মুহূর্তে কার্যত তাণ্ডব চালাচ্ছে তালিবান। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার বলাই নেই। আর বাইরে থেকে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের যে কী অবস্থা, তা অনুমান করে শিউড়ে উঠছেন পরিবারের সদস্যরা। কার্শিয়াংয়ের জেলাশাসক এস পুণ্যবালাম জানিয়েছেন, এসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের নিরাপদে ফেরানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। নয়াদিল্লির সঙ্গেও এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ রাজ্যের বাসিন্দাদের খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। মঙ্গলবারই সেই নির্দেশ পৌঁছেছে জেলাশাসকদের কাছে। আর সেই নির্দেশ পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন জেলাশাসকরা। কার্শিয়াংয়ের ২ বাসিন্দা কাবুলে আটকে থাকার খবর পেয়েই উদ্ধারে তৎপর প্রশাসন।