২৩শে আগস্ট স্বর্ণশিল্পে ধর্মঘট
সোনার গয়নায় হলমার্কিং দেশের ২৫৬টি জেলায় বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়াই জারি হয়েছে নির্দেশিকা। প্রতিবাদে ২৩ আগস্ট দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকল স্বর্ণশিল্পমহল। তাতে কারিগরদেরও শামিল হওয়ার কথা।
কেন ধর্মঘট? স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে বলেন, সরকার হলমার্কিংয়ের সঙ্গেই চালু করেছে হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফেকেশন নম্বর। নম্বরটি হলমার্কিং সেন্টারগুলিতে অনলাইনে আসে। সেটি ছাড়া গয়নায় হলমার্ক করা যাবে না। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেট অতি ধীরে চলার জন্য সেই নম্বর অনেক সময়ই মিলছে না। ফলে পণ্য আটকে থাকছে। আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এমনও গোটা দিন যাচ্ছে, বিআইএস পোর্টাল কাজই করছে না। তারাই হলমার্কিংয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যে-সফটওয়্যারে কাজ হচ্ছে, তাতে এত ভুলভ্রান্তি রয়েছে যে নাজেহাল হচ্ছেন অসংখ্য ব্যবসায়ী। বিষয়টি বিভাগীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েও সদুত্তর পাইনি। দেখার জন্য কেন্দ্র একটি কমিটি গড়েছিল। কমিটির রিপোর্টেও আমরা খুশি নই।
বুধবার দিল্লিতে আমাদের সঙ্গে বৈঠক আছে বিআইএসের ডিরেক্টর জেনারেলের। সেখানে ফলপ্রসূ কিছু না-হলে আমরা ২৩ আগস্ট প্রতিবাদ দিবস পালন করব। সেখানে কর্মবিরতিতে অংশ নেবেন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কারিগররাও। আমরা কেউই হলমার্কিংয়ের বিরুদ্ধে নই। সম্প্রতি আমরা রাজ্যের ১৬ হাজার স্বর্ণকারকে হলমার্কিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়েছি। আমাদের প্রতিবাদ সরকারের গাফিলতি নিয়ে। অন্যদিকে, বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, ৩৬০টি স্বর্ণশিল্প সংগঠন একযোগে একটি মঞ্চ গড়েছে। তারাই সর্বভারতীয়ভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আমরা হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফেকেশন নম্বর মানব না। এটা শিল্পটাকে ধ্বংস করবে। গয়নার নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তাও থাকছে না। দোকানদারকে তার স্টকের হিসেব দিতে হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত সাংঘাতিক! তাছাড়া হলমার্কিং এমনভাবে করা হচ্ছে যে গয়না থেকে সামান্য হলেও সোনা বের করে নেওয়া হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে ডিজাইন। ধর্মঘট এসবেরই প্রতিবাদে।