ভোট পরবর্তী হিংসা: এনএইচআরসির সুপারিশে আপত্তি কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতিরর
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে থাকা বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশে আপত্তি রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের বিষয়ে সহমত হলেও কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেক একাংশ নিয়ে আপত্তি তুলে জানান বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশের কোনও আইনি ভিত্তি নেই এবং এগুলো রিপোর্টে উল্লেখ করা ঠিক হয়নি।
নিজের রায়ে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় লেখেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারা গঠিত কমিটির ক্ষমতা ছিল শুধু সত্যি উদঘাটন করা। তাদের কোনও সুপারিশ করার বা কোনও মতামত প্রকাশের এখতিয়ার ছিল না। সেই ক্ষমতা হাইকোর্ট তাদেরকে দেয়নি। রিপোর্টের যেই অংশে কমিটি নিজেদের মতামত প্রকাশ করে সুপারিশ দিয়েছে, তা আইনের চোখে ভিত্তিহীন।’
এদিকে নিজের রায়তে বিচারপতি সৌমেন সেন লেখেন, ‘যদিও কমিটি নিজেদের রিপোর্টে বিভিন্ন কাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ অফিসারকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে, আমার মতে এগুলো করা কমিটির ঠিক হয়নি এবং কমিটি নিজেদের ক্ষমতার পরিধি লঙ্ঘন করেছে।’
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয় ৩ অগস্ট। এরপর বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট এই মামলায় নিজেদের রায় দেয়। ভোট পরবর্তী হিংসায় যেখানে খুন, ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, সেই মামলাগুলির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদালতকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদালতকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এরপর ৩০ জুন একটি গোপন অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ২ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশে দেয়, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে।