উত্তরবঙ্গের উদ্বেগ বাড়িয়ে ফুঁসছে তিস্তা, মহানন্দা
জলপাইগুড়ি ফের ফুঁসছে তিস্তা নদী। পাহাড়ে ও সমতলে বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর বিপদসীমার উপরে উঠেছে। তাই বৃহস্পতিবার এই নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি করে সেচদপ্তর। একইসঙ্গে শিলিগুড়ির মহানন্দা, পঞ্চনই, ফুলেশ্বরী ও জোরাপানি নদীর জলও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। এর জেরে শিলিগুড়িতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। তারা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে একটি সমন্বয় কমিটি ও তিনটি কন্ট্রোলরুম চালু করেছে।
কয়েকদিন আগে পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে জলস্তর অস্বাভাবিক বেড়েছিল। সেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে না হতেই ফের তিস্তা নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতো গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। একইসঙ্গে সিকিম পাহাড়েও বৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর দোমোহনিতে হলুদ সঙ্কেত জারি করে সেচদপ্তর। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৯৬.৪০ মিমি। এর বাইরে মালবাজার ১৫০.১০ মিমি, বানারহাটে ১৬৫.৩০ এবং ময়নাগুড়িতে ৮৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। শিলিগুড়িতেও মহানন্দা, পঞ্চনই, ফুলেশ্বরী ও জোরাপানি নদীর জলস্তর বাড়ছে। এদিন বৈঠক করে শিলিগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পরে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে এখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদীগুলির জল বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুরসভা, সেচদপ্তর ও এসডিও অফিসে তিনটি কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় যশ-এর সময় গঠিত সমন্বয় কমিটি ফের সক্রিয় করা হয়েছে।