কলকাতায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বড় ঘোষণা পুরসভার
আর কয়েকমাসের মধ্যেই পুরভোট। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তার আগে কলকাতার পুরবাজেটে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্য পুরপ্রশাসক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কলকাতা পুরসভা এলাকায় এবার থেকে মিউটেশন ফি লাগবে না। মিউটেশন বাবদ ১০০ টাকা ও প্রসেসিং ফি ১০০ টাকা, মোট ২০০ টাকা লাগবে না। এছাড়া কলকাতা শহরের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গত বছরের তুলনায় এবার পুরবাজেটে বরাদ্দ বাড়ল। শনিবার বাজেটে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন ফিরহাদ হাকিম। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, পুরভোটকে (Municipal Election) সামনে রেখেই এসব জনমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিউটেশন ফি মকুব করে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার মিউটেশন সংক্রান্ত আরও কয়েকটি ফি-তেও ছাড় দিল কলকাতা পুরসভা (KMC)। মিউটেশন সার্টিফিকেট তোলার ক্ষেত্রেও কোনও আলাদা ফি লাগবে না। থাকছে না অন্য কোনও জটিলতাও। শনিবার পুরপ্রশাসক মণ্ডলী অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাতে ফিরহাদ হাকিম সিদ্ধান্ত নিলেন, গত বছরের তুলনায় পানীয় জল প্রকল্পে ২১০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ করা হল। কলকাতায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বহুদিন বহু অভিযোগ ছিল শহরবাসীর। বারবার তা সমাধানের জন্য একাধিক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ হয়েছিল। তার কাজও চলছে। সেসব যাতে তড়িঘড়ি সম্পূর্ণ করা যায়, তার জন্য জলপ্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি করল পুরসভা।
পুজোর আগে রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কমিশনের সবুজ সংকেত মিললেই সাত আসনে উপনির্বাচন হবে। আর তারপর হবে পুরসভার নির্বাচন। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরই ভোট হতে পারে। সেদিকে নজর রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরপ্রশাসক বোর্ড। আর কলকাতা পুরসভা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সেই দুর্গ অক্ষুণ্ণ রাখতে মরিয়া বর্তমান শাসকদল। আর এদিনের পুরবাজেটে মিউটেশন ফি মকুব, জলপ্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধির মতো জনমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।