৭ দিনে ৩০ হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে
এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে নয়া সংযোজন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরিষেবা। বসেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাউন্টার। ‘জিরো ব্যালেন্স’ অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। তার জেরে ঢল নেমেছে আবেদনের। রাজ্যে নতুন সরকার শপথগ্রহণের পর গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত সাত দিনে সব জেলা মিলিয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করেছেন। কর্মসূচি শেষ হতে এখনও তিন সপ্তাহ বাকি। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের আশা, ততদিনে আবেদনের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্তু, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার এই হিড়িক কেন? আধিকারিকদের দাবি, মূলত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য এহেন প্রবণতা। এখন যে কোনও সরকারি প্রকল্পেই আর্থিক সহায়তা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে। নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, এমন অনেকে সেই সুবিধা নিতে আগ্রহী। কিন্তু এই করোনাকালে ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার ঝক্কি প্রচুর। মুশকিল আসানে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে তাদের কাউন্টারে ভিড়ও উপচে পড়ছে।
আগেরবার এই সুবিধা ছিল না। এবার সেটা চালু হতেই লুফে নিয়েছে মানুষ। দেখা গিয়েছে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ আবেদনকারী নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত গৃহিণীদের অধিকাংশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। তাদের সমস্যার সমাধান করেছে ব্যাঙ্কগুলির এই উদ্যোগ। রোজই বেশ ভালো সংখ্যক আবেদন জমা পড়ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৩,৭০০-র বেশি) এবং পশ্চিম বর্ধমান (৩,৬০০-র বেশি) জেলায়। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে তিন হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। যাঁরা নতুন অন্তর্ভুক্ত হবেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। সেই কাজও এই ক্যাম্পে হওয়ায় আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতায় ব্যাঙ্কের পরিষেবা বেশি থাকায় সেখানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এই প্রবণতা অনেক কম।