অজন্তার পাশে দাঁড়াল জাগো বাংলা, সম্পাদকীয়তে শাস্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া
সিপিএম-এর প্রয়াত নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল। সোমবার দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে অনিল-কন্যার শাস্তি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। অজন্তাকে শাস্তি দেওয়া নিয়ে সিপিএম-কে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘আজব দল সিপিএম। নিজে ডুবেছে। শরিকদের ডুবিয়েছে। শূন্যে নেমেও এখনও শিক্ষা হয়নি।’
তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ বিষয়ে কয়েকটি কিস্তিতে অজন্তার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রবন্ধের শেষ পর্বে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশস্তি। মূলত সে জন্যই সিপিএম-এর বিরাগভাজন হন অজন্তা। প্রতিপক্ষ দলের মুখপত্রে লেখা নিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল অজন্তাকে। কিন্তু তাঁর ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি সিপিএম নেতাদের। এর পরই তাঁকে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। এই সিদ্ধান্তেরই সমালোচনা করা হয়েছে সোমবার প্রকাশিত তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে।
সরাসরি অজন্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেখানে দাবি করা হয়েছে অজন্তার লেখা ছিল পুরোপুরি ইতিহাসভিত্তিক। সেটি কোনও রাজনৈতিক লেখা নয়। তাই প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর নিরিখে উঠে এসেছে মমতার নাম। বিভিন্ন সময়ে অনিল এবং অজন্তা সিপিএম-এর হয়ে কী কী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এর পরই সিপিএম-এর ‘সংকীর্ণ’ মানসিকতাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘লেখকের স্বাধীনতা মেনে একটি শব্দও বাদ না দিয়ে বামপন্থী নেত্রীদের নাম ছাপতে পারে, তা হলে আজও সিপিএম কেন এত সংকীর্ণ, কূপমণ্ডূক?’
অজন্তার শাস্তির প্রসঙ্গে ওই লেখায় উঠে এসেছে অতীতের কথা। অজন্তার মতো ঘটনা যে আগেও ঘটিয়েছে সিপিএম, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে। প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তী থেকে সইফুদ্দিন চৌধুরী, সমীর পুততুণ্ড থেকে সুজিত বসু কিংবা লোকসভার প্রয়াত স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়— ‘নিজের মত প্রকাশ করে’ সিপিএম-এ শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা উল্লেখিত হয়েছে। তরুণী অধ্যাপককে শাস্তির নামে গোষ্ঠীবাজির অভিযোগও আনা হয়েছে শাসকদলের মুখপত্রে। সিপিএম-কে কটাক্ষ করার পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘অজন্তা বিশ্বাসকে শাস্তির ঘটনাক্রমে সময় এলে সঠিক জবাব পাবে সিপিএম।’