তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রণকৌশল ঠিক করতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নয়া রিপোর্ট দেশ জুড়েই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ওই রিপোর্ট নিয়ে জল্পনার মাঝেই তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি সাংবাদিক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটিও সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ঝুঁকি থাকছে শিশুদেরও। শুধু তাই নয়, দেশের একাধিক রাজ্যে কোভিডের ‘আর ভ্যালু’ (একজন সংক্রমিতের থেকে কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন) জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ১-এর বেশি। যা থেকে বোঝাই যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কোভিড তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছে দেশে। এছাড়াও ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্টোবরেই শিখর ছোঁবে দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্যে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দৈনিক সংক্রমণের ওঠা-নামা লেগেই আছে। উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি সম্প্রতি কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত রবিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আরও সাতটি এলাকাকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরই জরুরি ভিত্তিতে মুখ্যসচিবের বৈঠক ডাকা তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় জেলা স্তরে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি নজরে রেখে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে কী বদল আনা হবে, মুখ্যসচিবের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই জেলায় ট্রেন চালানো নিয়ে দাবি উঠছে। গ্রামাঞ্চলে অন্তত ৫০ শতাংশ টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে না বলেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এই দিনের বৈঠকেই ট্রেন চালানো নিয়েও আলোচনা হতে পারে।