সুন্দরবনে ঢুকতে গেলে করাতে হবে করোনা পরীক্ষা, নির্দেশ জেলা প্রশাসনের
এবার সুন্দরবনে ঢুকতে গেলে করাতে হবে করোনা পরীক্ষা। তবে টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে বা আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে থাকলে করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ঢোকা যাবে সুন্দরবন (Sundarbans) অঞ্চলে। গোসাবায় হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। গদখালি ফেরিঘাটের কাছে একটি ঘরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে এই একই ব্যবস্থা দীঘায়ও করা হয়েছে। সুন্দরবনের মূল পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে পাখিরালা, সজনেখালি ইত্যাদি জায়গায় যেতে গেলে গোসাবা পার হতেই হবে। কিন্তু হঠাৎ এই দ্বীপাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্ক প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ব্লকে আচমকা করোনা (Covid 19) বেড়ে যাওয়ার পিছনে পর্যটকদের আনাগোনাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। তাই পর্যটকদের নিয়ে সতর্কতা চাইছে প্রশাসন। বাসন্তী ব্লকের তরফে মঙ্গলবার থেকে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন ২০-২২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। আগামীদিনে ঝড়খালি পর্যটন কেন্দ্রে ঢোকার মুখেও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার ভাবনা রয়েছে ব্লক প্রশাসনের। বিডিও সৌগত সাহা বলেন, আপাতত ঝড়খালিতে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন পড়ে, সেখানেও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। গোসাবা ব্লকে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাসন্তী ব্লক। বিডিও আরও জানান, আপাতত ছ’ দিন বিকেলের পর থেকে বাসন্তী, সোনাখালি এবং ভরতগড় বাজার বন্ধ রাখা হবে।
বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জে ঢোকার মুখেও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানেও পর্যটকদের পরীক্ষা করানো যাবে। জেলা প্রশাসন এখন পর্যটন কেন্দ্রগুলির উপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। উপচে পড়া ভিড় না হলেও পর্যটকদের আনাগোনা চলছেই। বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের মাধ্যমে যাতে এসব গ্রামীণ এলাকায় করোনা ছড়িয়ে না পড়ে, তা খেয়াল রাখছে প্রশাসন। আধিকারিকদের বক্তব্য, শহরের দিকে তবুও টিকাকরণের হার ভালো। কিন্তু গ্রামের দিকে এখনও একটা বড় অংশের মানুষ টিকা পাননি। সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে।