ত্রিপুরা-অসম নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন তৃণমূল সাংসদ
উপনির্বাচনের দাবিতে ফের নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে, কলকাতা নয়, সময় পেলেই চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে কমিশনে যেতে পারে তৃণমূল। এদিন এ বিষয়ে তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘আমরা কখনও দোষারোপ করিনি কোনও রাজনৈতিক দল বা সরকারকে। আমরা দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিশনকে বলেছি। ওদের পুরভোট নিয়ে দাবি থাকলে কমিশনকে জানাক।এই রাজ্যে উপনির্বাচন করানোর মতো পরিস্থিতি আছে। করোনা হার কম। আমরা তাই বলছি ভোট করাতে।’
বস্তুত দুর্গাপুজোর আগে সেপ্টেম্বরের শেষেই রাজ্যে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই খবর। ইতিমধ্যে কমিশনের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য মোট পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও ২টি কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে বাংলায়। যদিও বিজেপি এখনও করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে উপনির্বাচনে যেতে নারাজ। যদিও এদিন তৃণমূল সাংসদ পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপি যত বার করোনা নিয়ে কম কথা বলবে তত ভালো।
উত্তর-পূর্ব ভারত সহ অন্যান্য রাজ্যে সাংগঠনিক বিস্তার শুরু করেছি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে তো আমাদের ফুটবল খেলতে দিল না। তাহলে আসল খেলা হলে ওরা দিশেহারা হয়ে যাবে। উত্তর পূর্ব ভারতে চমক দেখতে পাবেন। পরিস্থিতি অনুকূল ওখানে। আমাদের দল ওয়াকিবহাল। রাজনৈতিক পদক্ষেপ করা হবে।’
বাংলার পরাজয় ঘিরে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছে গেরুয়া শিবির। এদিন তা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুখেন্দু শেখর রায়। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির তারকা সুলভ ব্য়বহারই বাংলায় ভোটে হেরে যাওয়া একটা বড় কারণ। সব কিছুর দাম বেড়েছে। জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। রান্নাঘরে যুদ্ধ বাঁধিয়েছে। ফলে ওঁদের প্যারাডাইস লস্ট হয়েছে। এলআইসি সহ ওরা সব বেচে দেবে। ওরা আসলে বেচে দেওয়া সরকার। কোনও সীমারেখা নেই।’