বঞ্চিত বাংলা, এবার স্নাতক স্তরের পাঠ্যসূচি থেকে বাদ মহাশ্বেতা দেবীর ‘দ্রৌপদী’
ভিনরাজ্যে পাঠ্যসূচি থেকে বরেণ্য বাঙালি লেখকদের সাহিত্যকর্ম বাদ দেওয়া অব্যাহত। উত্তরপ্রদেশের দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ছোটগল্প ‘দ্য হোম কামিং’ (ছুটি)। এবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিএ (সাম্মানিক) কোর্স থেকে বাদ দেওয়া হল মহাশ্বেতা দেবীর বহু পঠিত ছোটগল্প ‘দ্রৌপদী’। এক সাঁওতালি মহিলার জীবন নিয়ে এই ছোটগল্প লেখেন মহাশ্বেতা দেবী। চার দশক ধরে সাহিত্যপ্রেমী মানুষের চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে এই ক্লাসিক ছোটগল্প।
মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক শেষে পঞ্চম সিমেস্টারের সিলেবাস থেকে মহাশ্বেতা দেবীর গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য মিঠুরাজ দুসিয়া জানিয়েছেন, শুধু মহাশ্বেতা দেবীর লেখাই নয়, দলিত লেখক বামা এবং সুকীর্তারিনির লেখাও পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতি মেনে চলা এবং চার বছরের স্নাতক কোর্স চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হননি অধিকাংশ সদস্য। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এক সদস্য জানিয়েছেন, কোনও রকম আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ভোটাভুটি করতে দেওয়া হয়নি। কেবল ডিসেন্ট নোট চাওয়া হয়েছিল। এটা নিয়মের পরিপন্থী।’ তিনি জানিয়েছেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলেরর অন্তত ১৪ জন সদস্য মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বাদ দেওয়া নিয়ে ডিসেন্ট নোট জমা দেন। এরপরেও মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বাদ দেওয়া হল।