প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির আগে ত্রিপুরায় আক্রান্ত টিএমসিপি সমর্থকরা
ফের ত্রিপুরার (Tripura) মাটিতে আক্রান্ত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলাকালীন বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আগরতলার এমবিবি কলেজ চত্বর। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও থমথমে এলাকা।
একুশের বঙ্গভোটে বিপুল জয়ের পরই জাতীয় রাজনীতিতে দলের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। এখন তাঁদের লক্ষ্য বিপ্লব দেবের ত্রিপুরা। পড়শি রাজ্য দখলে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৃণমূল। ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসূচিতে দলের নেতারা গিয়েছেন ওই রাজ্যে। সে রাজ্যের অনেকেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ধীরে ধীরে মজবুত হচ্ছে সংগঠন। ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিল ত্রিপুরার এমবিবি কলেজে।
শুক্রবার সকাল থেকেই কলেজ চত্বরে ছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আগামিকাল সেখানে শোনানোর কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি ছিল তাদের। কিন্তু প্রস্তুতিতেই বাধা। অভিযোগ, কলেজে ঢুকে বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। বিজেপির পা যত কাঁপছে ততই হামলা বাড়ছে, বোঝা যাচ্ছে ওরা বুঝে গিয়েছে যে হার নিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলই ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসবে।”
করোনা আবহে তৃণমূলের শহিদ দিবস ২১ জুলাই পালিত হয়েছে ভারচুয়ালি।২৮ আগস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসও সেই ভারচুয়াল মাধ্যমে পালন করার পরিকল্পনা করেছে দল। ওই দিন প্রধান বক্তা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কালীঘাট থেকে তিনি ডিজিটাল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন। তবে এবার শুধু বাংলায় নয়, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের-এর প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে বলে আগে জানিয়েছিল দল।
আজ কিছুক্ষন আগে ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ ও সাংসদ শান্তনু সেন। এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিব্র প্রতিবাদ করেছেন তারা।