প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে শিক্ষানবিশি করবে ৫০০ পড়ুয়া: মমতা
ছাত্র রাজনীতি থেকেই তাঁর উত্থান। তাই ছাত্রজীবনের গুরুত্বই তাঁর কাছে সবচেয়ে মুখ্য। ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি সুযোগ করে দেওয়ায় তিনি বরাবর আগ্রহী। এবার পড়ুয়াদের জন্য আরও বড় সুযোগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, প্রতি বছর ৫০০ জন পড়ুয়াদের সিএমও অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। এই দপ্তরের ফিল্ডওয়ার্কের জন্য তাদের শিক্ষানবিশি করাবে রাজ্য সরকার। কাজের অভিজ্ঞতার পর তাদের পরবর্তী জীবনে কর্মক্ষেত্রে সুবিধার জন্য সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে। দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে দলনেত্রীর নতুন ঘোষণা স্বভাবতই বাড়তি অক্সিজেন জোগাল।
রাজ্য সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর (CMO)। আর সেই দপ্তরেই পড়ুয়াদের কাজের সুযোগ করে দিতে চান মু্খ্যমন্ত্রী। আসলে ছাত্রজীবন থেকেই যাতে প্রশাসনিক কাজকর্মের ধারণা গড়ে ওঠে, সেই লক্ষ্যেই তাঁর এমন ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ভারচুয়াল বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আমি ঠিক করেছি, প্রতি বছর সিএমওতে আমি ৫০০ জন করে ছাত্রছাত্রীকে ইন্টার্ন নেব। ডেভেলপমেন্টের কাজের জন্য তাদের ফিল্ডে পাঠানো হবে। তারপর তাদের কাজের অভিজ্ঞতার জন্য একটা সার্টিফিকেটও দেব। যাতে পরবর্তী চাকরিজীবনে তাদের সুবিধা হয়।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার কীভাবে সহায়তা করছে, তা বিস্তারিত জানান দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিটি স্তরে স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে এ রাজ্যে। তিনি এও জানান, ”উচ্চশিক্ষায় ইউজিসি স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্যে আমরা তা দিচ্ছি।” ইতিমধ্যেই সরকারি কাজে ছাত্রীদের অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরগুলিতে ফর্ম ফিলাপের জন্য ‘কন্যাশ্রী’দের কাজে লাগানো হয়েছে। তারা নিরক্ষর মহিলাদের ফর্ম ভরতে সাহায্য করছে এই শিবিরে বসেই। এবার আরও বড় সুযোগ আসছে তাদের সামনে।