রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেবে তৃণমূল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

August 28, 2021 | 4 min read

আজ দেশজুড়ে পালিত হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখলেন তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে। এদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মহাসচিব এবং রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গোটা দেশে সম্প্রচারিত হয় এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান।

দেখে নেওয়া যাক এই চার নেতার বক্তব্যের সংক্ষিপ্তসারঃ

ব্রাত্য বসু

• পশ্চিমবঙ্গ ভারতকে পথ দেখাচ্ছে। তার মধ্যে আছে নতুন প্রজন্ম ছাত্র সমাজ।

• ছাত্র সমাজ নতুন ভাবে আশায় বাঁধছে।

• আপনারাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

• এই দিনটি আমাদের কাছে স্মরণীয়, বরেণ্য।

• ছাত্ররাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নতুন দেশ গড়তে পারে।

• মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এতটা ধাপ এসেছি।

• নবীন এবং প্রবীণদের সংমিশ্রণে রাজনৈতিক পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে। সেখানে টিএমসিপির ভূমিকা বট বৃক্ষের মতো।

• ত্রিপুরায় বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এরকম করছে। বাংলায় যেভাবে লড়াই করেছি, গোটা দেশেই সেভাবে লড়াই করব।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

• যেখানে যেখানে বিজেপি রয়েছে। সেখানে মানুষ পদদলিত। সেই রাজ্য বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে আনব। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। সেই লক্ষ্যে অবিচল আমরা।

• ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ধমকে চমকে লাভ নেই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এগিয়ে যাবে তৃণমূল।

• ত্রিপুরায় সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল। সেখানে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। ওদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাও তো এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পা রাখেননি। উনি পা রাখলে ত্রিপুরায় ভূমিকম্প হবে।

• ত্রিপুরায় আর দুয়ারে গুন্ডা যাবে না। দুয়ারে সরকার যাবে।

• যারা দুয়ারে সরকারকে স্টান্ট বলেছিল, তারাই এখন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে লাইন দিচ্ছে। দুয়ারে সরকার সবার।

• লড়াই বাংলার মাটি থেকে শুরু হয়েছে, দিল্লির মাটিতে গিয়ে থামবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

• ছাত্র রাজনীতি শিকড়ের গভীরে নিমজ্জিত। অবহেলিত, শোষিত মানুষদের নিয়ে পথ চলা শুরু করে ছাত্র যুবরা। রাজনীতি সবার জায়গা হোক, ভালোবাসার জায়গা হোক।

• ক্ষমতায় এসে আমাদের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেছে। মানুষের কাজ করা, মানুষকে ভালোবাসা আমাদের প্রধান কাজ। দিল্লি যখন আমাদের সঙ্গে পারে না, তখন ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দেয়।

• আমরা প্রায় ৪০ বছর একসঙ্গে কাজ করেছি। কেউ ছেড়ে গিয়ে আবার ফিরে এসেছে, কারণ এই ঘর ভালোবাসার। বড়দের সম্মান জানিয়ে ছাত্রজীবন শুরু করবেন ছাত্ররা। তাহলেই দেখবেন সব পাবেন।

• ছাত্র যৌবনের জন্যে আমাদের সরকার অনেক কিছু করেছে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। কিন্তু হেরে যাইনি। এই বেদনা বুঝেছি বলেই, শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ গুন টাকা বাড়ানো হয়েছে। আরও সবুজসাথী সাইকেল দেওয়া হচ্ছে।

• ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে তিনমাসের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করে দিয়েছি। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ছাত্র- ছাত্রীদের ট্যাব বা স্মার্ট ফোন কেনার জন্যে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

• ত্রিপুরায় ১০ হাজার শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজকেও দেখিয়েছে গুজরাতে কোভিডে আসল মৃত্যু সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে অনেক বেশি।

• বাংলায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। আরও ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ৯০ লক্ষ স্মল স্কেল ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। ৫৪০ টিরও বেশি এমএসএমই ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে।

• বাংলায় ১৫০০ টি আইটি কোম্পানি আছে। ২-১০ লক্ষ মানুষ কাজ করেন সেখানে। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে ৬ লক্ষ ছেলেমেয়েকে স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

• আমরা আইএএস, আইপিএস- এর জন্যে ট্রেনিং সেন্টার করেছি। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন মেয়েরা কন্যাশ্রীর টাকা পাচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।

• সবুজের অভিযান ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে চিন্তাধারা গড়ে তুলবে। প্রতিবাদের নাম ছাত্র যৌবন। আমি চাই সারা ভারতের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলা হোক।

• এই বিজেপি সরকার দানবিক, অমানবিক। এরা মানুষের কন্ঠরোধ করে। এরা দেশ বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশের মাটি পবিত্র মাটি, একে বিক্রি করা যায়! ছাত্রদের দায়িত্ব এর প্রতিবাদ করা। প্ল্যাকার্ড নিয়ে লিখে লিখে প্রতিবাদ করুন।

• কয়লা চুরি ঠেকানো সিএইএসএফ- এর দায়িত্ব। বিজেপির নেতারা আসানসোলে কোল মাফিয়াদের হোটেলে ছিল। বিজেপির নেতারা মেয়েদের সম্মান করে না। ওরা মহিলাঘটির কান্ডে জড়িয়ে পড়েছে।

• বিজেপি রাজনৈতিকভাবে লড়তে পারছে না। ভয় দেখালে আমরাও বস্তা ভরে কাগজ পাঠাব। দেখব তদন্ত হয় কি না। তদন্ত না হলে কোর্টে যাব। এখনও কিছু মানুষ কথা বলতে পারে।

• আমি এর আগে কখনও এইরকম প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখিনি। মানবাধিকার কমিশন শুধু বাংলার জন্য! আসামের জন্যে নয়! আসামে, হাথরাসে আমাদের সাংসদদের ঢুকতে দেয়নি। মানবাধিকার কমিশনে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সে বিজেপির লোক।

• নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের আরও ২০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হবে, গতিধারা প্রকল্পে ৪৪ হাজার বেকার যুবক-যুবতীকে গাড়ি কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ৫ লক্ষের চাকরি দেওয়া হয়েছে, আরও ৪টি আইটি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।

• এবার দেশের মানুষের চোখ-নাক-জিভ বিক্রি করতে বলবে কেন্দ্র। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেবে তৃণমূল।

• কখনও দেখিনি সরকার শিল্পপতিদের ডেকে আলাপ- আলোচনা করছে। এইসব নিয়ে কেউ কথা বলে না।

• এখন পেট্রল- ডিজেলের দাম কত? উজ্জ্বলা কোথায় গেল? সাংসদ তহবিল বন্ধ। একদিনের মাইনে কেটে নিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর গভর্নিং বডি ভর্তি করছে।

• সব মুখ্যমন্ত্রীদের একসাথে আসতে হবে। জিএসটির টাকা দিচ্ছে না, টিকা দিচ্ছে না। ওরা শুধু গুলি চালায় আর গালি দেয়। আর কোন কাজ নেই।

• জোট বাঁধুন, তৈরি হন। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। ওরা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছে। আমি ভয় পাই না।

• ওরা কন্ঠারোধ করে। কেউ কিছু বললে দেশদ্রোহী বলে। সিআইএসএফ- এর পরীক্ষায় প্রশ্ন করেছে বাংলায় হিংসা নিয়ে, দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে। কেন্দ্রীয় জওয়ানদের মধ্যেও ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ করে দিচ্ছে।

• রাজ্যপালের কথা না মানলেই ব্ল্যাকমেলিং করা হয়, সব কমিশনকে পলেটিক্যাল বানানো হচ্ছে। পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায় গেল?

• দুবছর ধরে পড়াশোনা বন্ধ আছে। পড়াশোনা বন্ধ করলে চলবে না। ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে আমার অনুরোধ। পুজোর পর স্কুল-কলেজ খোলার চেষ্টা করব। আপনাদের ট্যাব দিচ্ছি, যাতে টাকার জন্যে পড়াশোনা বন্ধ না হয়। ইউজিসি টাকা দেওয়া বন্ধ করলেও আমরা টাকা দিচ্ছি। সিএমও থেকে আমরা ছাত্র- ছাত্রীদের টাকা দিচ্ছি। ১০ লক্ষ টাকার স্কলারশিপ দিচ্ছি।

• মেয়েরা এগিয়ে আসুন। যারা বিয়ে করেছেন। সংসারও করবেন, কাজও করবেন। সরকারি চাকরির অপেক্ষা করবেন না। যা পাবেন নিয়ে নেবেন। স্বপ্নটা বড় হোক। টাকাটা কম হলেও চলবে।

• এখন এক ব্যক্তি এক পদ হয়েছে। এতে অনেককে সুযোগ দেওয়া যাবে। আমি চাই ছাত্র রাজনীতি থেকে আরও তিনটে প্রজন্ম তৈরি হোক।

• এখন থেকে প্রতি বছর ৫০০ ছাত্র- ছাত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগও দেওয়া হবে। বাংলার উন্নয়নের কাজে নিযুক্ত করা হবে তাদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #TMCP Foundation Day

আরো দেখুন