২ মাস পরও বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কে ঠিক করতে পারল না কংগ্রেস
কংগ্রেস ছেড়ে জিতিনপ্রসাদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গত ৯ জুন। অর্থাৎ, পেরিয়ে গিয়েছে দু মাসেরও বেশি সময়। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর বদলে কাকে এআইসিসির ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে তা ঠিক করে উঠতে পারছেন না সোনিয়া গান্ধী। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুঁদে আইনজীবী সলমন খুরশিদ, বিহারের নেতা অখিলেশ প্রসাদ সিং, নাকি দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত শীলা দীক্ষিতের সচিব তথা এআইসিসির অন্যতম মুখপাত্র পবন খেরা? এই তিনজনের নাম নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।
ভোটে ভরাডুবির পর দলের একাংশ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেও, তাঁর ‘বিকল্প’ আপাতত কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অধীরবাবুও ইদানিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর অনেকটাই নরম করেছেন। তাই তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকলেও কংগ্রেস-তৃণমূল জোটে সমস্যা হবে না বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
তবে অতদিন একটানা অধীররঞ্জন চৌধুরীই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হোক বা ইনচার্জ, কংগ্রেস হাইকমান্ড বাংলায় এমন ব্যক্তিকে বসাতে চাইছে, যাঁর সঙ্গে মমতার বিরোধ বাঁধবে না। যদিও বিজেপি বিরোধী জোটের স্বার্থ দেখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যাতে কোনওভাবে তৃণমূলের হাতের পুতুল না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার পক্ষে এআইসিসি। তাই ভারসাম্য রক্ষা করে চলার নেতা খুঁজছে কংগ্রেস।
রাজ্যে রাজ্যে সাংগঠনিক পদে রদবদল করছেন সোনিয়া। উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্র, কেরল, ঝাড়খণ্ডের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে রদবদল হয়েছে। সাজানো হয়েছে জেলা কমিটিও। রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদকদেরও। সেই পথ ধরে পশ্চিমবঙ্গে কবে রদবদল হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। অসমের এমপি গৌরব গগৈকে সরিয়ে রাহুল ঘনিষ্ঠ উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ নেতা জিতিন প্রসাদকে বাংলায় দায়িত্ব দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে তিনি কোনও কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। উল্টে ভোটের ফল বেরনোর মাস পেরতে না পেরতেই কংগ্রেসের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের সদস্য হন। সেই থেকে পশ্চিমবঙ্গের এআইসিসি ইনচার্জের পদ খালি। সামনেই সাত বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। এরপর আসছে পুরভোট। তারপর পঞ্চায়েত। তাই কীভাবে সাজানো হবে বাংলার আগামী নির্বাচনের ঘুঁটি, তা নিয়ে চিন্তায় দলীয় নেতৃত্ব।