বিজেপির বৈঠকে ‘অপমানিত’ সুদীপ রায়বর্মন, দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
দিল্লির নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বদলাতে পারত ত্রিপুরার বিজেপির অন্দরের ছবিটা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় ফেরাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে পারতেন বিপ্লব দেব এবং সুদীপ রায়বর্মন (Sudip Roy Barman)। কিন্তু বাস্তবে হল উলটোটাই। কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বৈঠক চলাকালীনই ‘অপমানিত’ হলেন সুদীপ রায়বর্মন। আর সেই অপমানের জেরে বৈঠক শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনি বেরিয়ে যান বলে দলীয় সূত্রে খবর।
ত্রিপুরার (Tripura) বিধানসভা নির্বাচনের আর বাকি ১৬ মাস। তার আগে সে রাজ্যের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করার কথা চলছিল। মনে করা হচ্ছিল, বিজেপির অন্দরের সমস্যা মেটাতে সুদীপ রায়বর্মনকে ফেরানো হতে পারে মন্ত্রিত্ব। এমনকী, তাঁর অনুগামীদেরও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে। সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি থেকে এসেছিলেন অজয় জামবুয়াল, বিনোদ সরকার এবং দিলীপ ভুঁইঞারা। সোমবার সন্ধেয় বিজেপি মন্ত্রী, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা।
দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে আসেন সুদীপ রায়বর্মন। দিল্লির নেতারা তাঁকে বসতে বলেন। ঠিক সেই সময় নাকি স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতারা তাঁকে কটাক্ষ করেন। সেই অপমান সহ্য করতে পারেননি সুদীপ। সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক ছেড়ে চলে আসেন তিনি। যদিও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পারিবারিক কারণে তিনি আর বৈঠকে থাকতে পারছেন না। পরে প্রয়োজনে ফিরে আসবেন। কিন্তু সুদীপ রায়বর্মনকে ফিরে আসতে দেখা যায়নি। এরপর থেকেই বেড়েছে জল্পনা।
সুদীপ রায়বর্মনের অনুগামীদের দাবি, তাঁদের নেতার বিজেপি-ত্যাগ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ঘাসফুল শিবিরে যোগদান নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তবে প্রশ্নটা হচ্ছে, সুদীপ রায়বর্মন কি একা নাকি তাঁর সঙ্গে বিজেপির অন্যান্য বিধায়করাও দলবদল করবেন? ইতিমধ্যে তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
এদিকে তিন নতুন মন্ত্রী ত্রিপুরায় শপথগ্রহণ করেছেন। তাঁদের একজনকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী ভগবান দাসের তফসিলি জাতির শংসাপত্র ‘জাল’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, “ভগবান দাসের তফসিলি জাতির সার্টিফিকেট জাল। তিনি কীভাবে মন্ত্রী হবেন?