নারদ মামলায় তলব করা হল শুভেন্দুকে, চাপে বিজেপি
আবার জেগে উঠল নারদ মামলা। এবার ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। তাঁদের জমা দেওয়া চার্জশিটের উপর ভিত্তি করেই ফের তলব করা হল রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। এমনকী এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পিএসি চেয়ারম্যান মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও তদন্তের আর্জি জানিয়েছে ইডি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে সমন জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডেকে পাঠানো হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এখানে বাদ রাখা হচ্ছে না শুভেন্দু–মুকুলকে। নারদ মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট পেশ করেছে। এবার ইডির চার্জশিট জমা পড়েছে। এই প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের স্পেশাল কোর্টে ইডি জানিয়েছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং ফিরহাদ হাকিমকে আগামী ১৬ নভেম্বর তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশ, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে তিন বিধায়ককে সমন পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন পুলিশ কর্তা মির্জাকেও একইদিনে সমনও পাঠানো হচ্ছে। নারদ মামলার এফআইআরে থাকা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়কেও সমন পাঠানো হয়েছে। একই দিনে তাঁদেরও হাজির হতে হবে। নারদ তদন্তের স্বার্থে শুভেন্দু–মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে সুব্রত–মদন–ফিরহাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। সেদিন টানা ৬ ঘণ্টা ধরে ঠায় নিজাম প্যালেসে বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তারপরই অবশ্য জামিন পান তিনজন। রাতের অন্ধকারে সিবিআই হাইকোর্টে আবেদন করেন। তা নিয়েও জল অনেকদূর গড়ায়। এখন দেখার শেষমেশ কি হয়।