উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যকে তৈরি থাকতে নির্দেশ কমিশনের
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন কীভাবে? এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গেই ছিল। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেশের একাধিক রাজ্যের মুখ্যসচিবদের ভার্চুয়াল বৈঠকে সেই ধোঁয়াশা কাটল অনেকটাই।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে উপনির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওই বৈঠকের পর কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট কমিশন। আইসিএমআররের রিপোর্টের পরই এনিয়ে সন্তুষ্ট হন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। এরকম এক অবস্থায় উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিল কমিশন। ভোটের প্রস্তুতি দেখতে রাজ্য আসতে পারেন সুদীপ জৈন।
রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যের একাধিক আসনে যদি উপনির্বাচন করতে হয় তাহলে তা এখনই করা হোক। কারণ সামনেই পুজো। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট করানোর জন্য রাজ্য সরকার কতটা তৈরি তার বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর পুজোর আগেই রাজ্যে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের যেসব কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুরও। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয়ের পর এই কেন্দ্র থেকেই ফের লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বাংলায় এবার উপনির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের কোভিড সংক্রান্ত রিপোর্টে সন্তুষ্ট হওয়ার পর এবার কবে রাজ্যে উপনির্বাচন করা যায় তা নিয়ে আলোচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি বুঝেই অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে, এমন একটা জল্পনা ছিল। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত ছিল। উপনির্বাচন হওয়ার কথা এই দুই কেন্দ্রে। ভবানীপুর, দিনহাটা ও শান্তিপুরেও উপনির্বাচন হবে।