এখনই উপনির্বাচন করা হোক বাংলায়, কেন্দ্রীয় কমিশনকে আর্জি রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের
বাংলায় এখনই উপনির্বাচন করা হোক, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই জানালেন এ রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা। বুধবার দুপুরে ১৭টি রাজ্যের ডেপুটি সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় কমিশন। সেখানেই পুজোর ছুটির কথা উল্লেখ করে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে সায় দেন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা। বৈঠকে তাঁরা শুধুমাত্র ভবানীপুরের নাম না বললেও রাজ্যে যে সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন বকেয়া রয়েছে, তার মধ্যে সাধারণের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ এবং কৌতূহল রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রটি নিয়ে। কারণ ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বৈঠকে মূল তিনটি বিষয় জানতে চায় কমিশন। ১) রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কেমন? ২) দুর্গাপুজোর ছুটি কবে থেকে শুরু হচ্ছে? ৩) রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কেমন? যাঁরা ভোটের কাজে যুক্ত থাকবেন তাঁদের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছে কি না সে প্রসঙ্গও উঠে আসে বৈঠকে। সেখানে রাজ্যের নির্বাচনী কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা ভোট করতে প্রস্তুত। এই মুহূর্তে ভোট হলে সমস্যা নেই। কারণ অক্টোবর মাসের ১০ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত কমিশনের দপ্তরে ছুটি থাকছে। ফলে এখনই ভোটের দিন ঘোষণা হলে ২৪ দিনের মাথায় ভোট করা সম্ভব হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। উত্তরবঙ্গের দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেছেন যথাক্রমে বিজেপি-র সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। উপনির্বাচন হবে সেখানেও। ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই কোভিড সংক্রমণে অসুস্থ হয়ে প্রয়াত হয়েছেন খড়দহের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করও। ওই আসনগুলিতেও উপনির্বাচন হবে। পাশাপাশিই, করোনা সংক্রমণে প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট করা যায়নি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আগেই বলেছেন, ভবানীপুর-সহ রাজ্যে অন্য কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন করাতে কোনও সমস্যা নেই। সে কথা কমিশনকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। তার পরেও তৃণমূলের একাধিক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে অবিলম্বে উপনির্বাচন করানোর দাবি নিয়ে। অন্য দিকে, বিরোধী বিজেপি বলছে, রাজ্যে যা কোভিড পরিস্থিতি, তাতে এখনও উপনির্বাচন করানোর মতো অবস্থা নেই। এ বার ভোট করানোর আর্জি জানাল রাজ্য নির্বাচন দপ্তরও। এখন দেখার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় কমিশন।