বনগাঁ চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অনাস্থা আনল তৃণমূল
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার পর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপির ঘরে ভাঙ্গন অব্যাহত। গতকাল মঙ্গলবার বনগাঁ মহাকুমা মতুয়া গড়ে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ফিরে এসেছেন তৃণমূলে।
তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এবারে ভাঙন ধরল বনগাঁর আরও এক বিজেপি নেতৃত্বাধীন পঞ্চায়েতে। বিজেপি পরিচালিত বনগাঁ চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অনাস্থা আনল তৃণমূল। অনাস্থার পক্ষে পঞ্চায়েতের ৮ জন সদস্য ভোট দিয়েছেন বলেই জানা গেছে। এরফলে চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে বলেই দাবি তৃণমূলের। বনগাঁ চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৫। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দখলে ছিল ৮ টি আসন। তৃণমূল পেয়েছিল ৭ টি আসন। পঞ্চায়েত গড়ে বিজেপি। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যুর ফলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা দাড়ায় ৬। এর মধ্যে বিজেপির ২ জন সদস্য তলে তলে তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ রেখেই চলছিল বলেই পঞ্চায়েত সুত্রে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি পরিচালিত চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থার ডাক দেয়। হাইকোর্টে অনাস্থার বিরুদ্ধে মামলা করে পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা রায়।
গতকাল ছিল অনাস্থা ভোট। বৈঠকের আগেই পঞ্চায়েতের চার বিজেপি সদস্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কথা জানিয়ে বের হয়ে যান। বিজেপির দুই সদস্য তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় ভোট দিয়েছেন বলেই দাবি তৃণমূলের। এরফলে বনগাঁর চৌবেড়িয়া -২ পঞ্চায়েতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বলে দাবি তৃণমূলের। এই বিষয়ে সরকারি আধিকারিক অনাস্থা ভোটাভুটির পরে জানান৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৮ জন সদস্য অনাস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন। পঞ্চায়েতের সরকারি আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশ আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি ।
বিজেপির প্রধান নমিতা রায় বলেন অনাস্থার বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। গতকাল বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে স্থগিতাদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এরপরেও বেলা ১২ টা নাগাদ অনাস্থার ভোটাভুটি করেছে তৃণমূল।তার দাবি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গায়ের জোরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশের পরেও অনাস্থা ভোটাভুটি সম্পন্ন করল ।
এই প্রসঙ্গে গোপালনগর ২ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নিশীথ বালা জানিয়েছেন তাদের সদস্য সংখ্যা ৬ জন ছিল। বিজেপি থেকে ২ জন সদস্য তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে অনাস্থায় স্বাক্ষর করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ আমরা পাই নি।