ত্রিপুরায় এবার পার্টি অফিস খুলছে তৃণমূল, উদ্বোধনে অভিষেক
স্রেফ হাওয়া তোলা নয়। ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যার প্রথম ধাপ হিসাবে আপাতত আগরতলায় তৈরি হচ্ছে দলীয় কার্যালয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আগরতলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইতিমধ্যেই গোটা দুই বাড়ি দেখা হয়েছে। তার মধ্যেই একটি বাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তৈরি হবে দলীয় কার্যালয়। যার উদ্বোধন করবেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
শীঘ্রই ত্রিপুরা (Tripura) যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিল্লি থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা পৌঁছনোর কথা অভিষেকের। তাঁর জন্য তিনদিনের ঠাঁসা কর্মসূচি তৈরি করছে দলের স্থানীয় নেতারা। একাধিক ছোটছোট বৈঠক করবেন তিনি। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনও তাঁর সফরসূচিতে থাকার কথা। আসলে, এরাজ্য থেকে নেতারা ত্রিপুরায় যাওয়ার পর অনেকেরই হোটেল পেতে সমস্যা হচ্ছে। হোটেল পেলেও সাংবাদিক বৈঠক করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অনেক সময় দলীয় কর্মীদের বাড়িতেও সাংবাদিক বৈঠক করতে হচ্ছে। সেই সমস্যা মেটাতেই দ্রুত দলীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই বিপ্লব দেবের (Biplob Deb) রাজ্যে একপ্রকার সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়াবেন তৃণমূল নেতারা। ১৫ দিন ব্যাপী এই যাত্রায় অংশ নিতে এরাজ্য থেকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীরা ত্রিপুরা যাবেন। রাজ্যের সব জেলায় মিটিং-মিছিল করবেন। তৃণমূলের এই যাত্রার প্রথম পর্বেই সেরাজ্যে যাচ্ছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে দলে যোগ দেওয়া অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব (Susmita Deb)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
তাঁর আগে বুধবার সকালেই ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করেছেন, “বিজেপির অনেক বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। অনেকের সাথে আমাদের কথা চলছে। এর মধ্যে কাকে নেওয়া হবে, না নেওয়া হবে, সেটা দলীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে। আর কয়েকমাস ত্রিপুরাতে রয়েছে বিজেপি। সেরাজ্যে বিজেপির আর কোনও জনভিত্তি নেই।”