চাপে পড়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত অধ্যাপককে অপসারণ করল যাদবপুর
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন এক গবেষক ছাত্রী। যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও গোটা ঘটনা জানিয়েছিলেন তিনি। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার অভিযুক্ত অধ্যাপককে তাঁর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় অধ্যাপককে তাঁর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদিন তদন্ত চলছে, ততদিন ওই পদে ফিরতে পারবেন না। দোষ প্রমাণিত হলে নিশ্চয়ই পরবর্তীতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
অভিযোগকারিণী বয়ানে জানিয়েছিলেন, লিঙ্গুইস্টিক্সের ওই অধ্যাপক তাঁর সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করেন। পরে প্রেমের প্রস্তাবও দেন। এরপরই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছিলেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু শেষমেশ তিনি কথা রাখেননি। অভিযোগকারিণী আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির পর পরই ওই অধ্যাপকের নজরে পড়ে যান তিনি। পড়াশোনা নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তাঁকে ফোন করতে বলতেন অধ্যাপক।
এভাবেই কথাবার্তা বাড়তে শুরু করেছিল। এরপর ক্লাসের বাইরেও দেখাও করতেন তাঁরা। দু’জনের সম্পর্ক ক্রমেই গভীর হতে থাকে। অধ্যাপককে বিশ্বাস করেই ধীরে ধীরে সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রী। কিন্তু তার এমন পরিণতি হবে বলে আশা করেননি বলেই দাবি তাঁর।
যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করার পরই তার কপি লিঙ্গুইস্টিক্স বিভাগে পাঠান অভিযোগকারিণী। সঙ্গে জানান, গোটা ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইন্টারনাল কমপ্লেইন সেল বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। তারপরই বড়সড় সিদ্ধান্ত জানানো হল।
অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৭, ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত অধ্যাপকের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।