বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জলের লাইন সংযোগে দেশে শীর্ষ বাংলা
বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Drinking Water) সংযোগ প্রকল্প ‘জল জীবন মিশন’এ (Jal Jeevan Mission) গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছল বাংলা (Bengal) । বিধানসভা নির্বাচন পর্বে তিন মাস যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকার পর গত মে থেকে এই প্রকল্পে নিজেদের অভিযান শুরু করেছিল বাংলা। মাত্র চার মাসে গোটা দেশের মধ্যে পানীয় জল সংযোগের নিরিখে ‘এক নম্বরে’ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পরিচালিত এই রাজ্য। প্রকল্প রূপায়নের ক্ষেত্রে বাংলা যেমন পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অসমকে, তেমনই বহু পিছনে রেখে এসেছে গেরুয়া শিবিরের মডেল রাজ্য গুজরাত ও উত্তর প্রদেশকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে দেশের ৩২টি রাজ্য এই প্রকল্পে সবমিলিয়ে মোট ১৮ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭১০টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছে। তার মধ্যে পশিচ্মবঙ্গ একাই করেছে ১২.৫৭ শতাংশ সংযোগ।
রাজ্যের এই সাফল্য উচ্ছ্বসিত খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ মহলে সেই বিষয়টি জানিয়ে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের পিএইচই মন্ত্রী পুলক রায় সহ এই কাজে যুক্ত সমস্ত আধিকারিক ও কর্মচারীদের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পিএইচই টার্গেট নিয়েছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্যের মোট এক কোটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগস্থাপনের।
জল জীবন মিশন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট জলশক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র চার মাসে গোটা দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান থেকে প্রথমস্থানে উঠে আসা বাংলা খুব ভালো কাজ করছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মে মাস থেকে আগস্ট, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ সংখ্যা চারগুণ বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
কয়েকদিন আগে পানীয় জল সংযোগের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির কয়েকজন সদস্য। সেই দলের প্রধান ডঃ সঞ্জয় জয়সওয়াল রাজ্যের কাজ খতিয়ে দেখে ভূয়সী প্রশংসাও করে গিয়েছেন। মন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে শীর্ষ থাকা বাংলার পরেই রয়েছে কর্ণাটক। তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু, চতুর্থ স্থানে অসম এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে ওড়িশা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মা-মাটি-মানুষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত মে মাসে প্রকল্প রূপায়নে বাংলার স্থান ছিল ষষ্ঠ, জুন মাসেও ষষ্ঠ স্থানে ছিল তারা। এরপর জুলাই মাসে পঞ্চম এবং সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে এই রাজ্য।