কামতাপুরি ভাষায় স্কুল চালু ময়নাগুড়িতে
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবারই প্রথম কামতাপুরি ভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ির সাতভেন্ডি এবং রাজারহাটের পেচাভিটা এলাকার গুরুচরণ বিদ্যাপীঠে অস্থায়ীভাবে কামতাপুরি ভাষায় শুরু হবে স্কুল। বুধবার জলপাইগুড়ির জেলা শাসকের অফিসে কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি এবং কামতাপুর ভাষা আকাদেমির সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। কামতাপুর ভাষা আকাদেমির চেয়ারম্যান বজলে রহমান বলেন, ‘দুটি স্কুল অস্থায়ী পরিকাঠামোয় চালু হচ্ছে বলে শুনেছি। প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আমরা সমন্বর রেখে চলছি।’
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘ময়নাগুড়ি ব্লকে কামতাপুরি ভাষার দুটি স্কুল চালু হতে যাচ্ছে। সরকারের তরফে ইতিমধো অনুমোদন মিলেছে।’
আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই ভার্চুয়ালি স্কুলের সূচনা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রাজ্যের নির্দেশিকা মেনে স্কুল খুললে পঠনপাঠন শুরু হবে।
উত্তরবঙ্গে কামতাপুরি ভাষায় ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে দুটি স্কুল চালু করেছে রাজ্য সরকার। আপাতত এই দুটি বাংলামাধ্যম স্কুলে কয়েকটি ঘর নিয়ে কামতাপুর ভাষায় প্রাথমিকের পঠনপাঠন শুরু হবে। তবে, এখনই স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পথে হাটছে না রাজ্য। অস্থায়ী শিক্ষক দিয়েই আপাতত পড়ানো হবে। ধীরে ধীরে স্থায়ী স্কুল ভবন তৈরি হবে।
এদিন জেলা শাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে ছিলেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নারায়ণ রায়, অমিত রায়, রাজেন্দ্রনাথ রায়, জেলা সভাপতি বিমল বর্মন প্রমুখ। বৈঠক শেষে কামতাপুরি ভাষা আকাদেমির সদস্য সুরেশ রায় বলেন, ‘স্কুল চালু হচ্ছে, সেই খবর পেয়েছি। কিন্তু কীভাবে স্কুল পরিচালনা করা হবে, শিক্ষক নিয়োগ কীভাবে হবে সেই বিষয়গুলি স্পষ্ট করতেই প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম।’
এর আগে উত্তরকন্যায় এসে কামতাপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারে শিক্ষক দিবসে উত্তরবঙ্গে আসছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, ওইদিন তিনি নিজেই উত্তরকন্যা থেকে ভার্চুয়ালি কামতাপুরি ভাষার এই দুটি স্কুল চালু করে দিয়ে যাবেন। যদিও এই বিষয়ে সরকারি মান্যতা মেলেনি।
সূত্রের খবর, সাতভেন্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কামতাপুরি ভাষায় পঠনপাঠনের সরকারি অনুমোদন ইতিমধ্যে চলে এসেছে। রাজারহাট স্কুলটিও কয়েকদিনের মধো অনুমোদন পাবে। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জেলার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।