জলপাইগুড়ি শহরকে জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে যাদবপুরের দ্বারস্থ এসজেডিএ
প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে জল জমার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের। ভৌগোলিক ও পরিকল্পনাহীনভাবে তৈরি শহরের জল নিষ্কাশনে স্থায়ী সমাধানের লক্ষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এবার মাস্টার প্ল্যান তৈরির পরিকল্পনা নিল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল ও অন্যান্য বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক রাস্তা সংস্কার ও একটি ক্লক টাওয়ার তৈরির কথাও ঘোষণা করেন সৌরভবাবু। তাঁর দাবি, বেশিরভাগ কাজই পুজোর আগে শুরু করা হবে।
বৈঠক শেষে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফে কিছু প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছিল। সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই এদিন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পুর এলাকার উন্নয়নের লক্ষে এসজেডিএ শহরের সাতটি জায়গায় রাস্তা তৈরি করবে। আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যাতে তারা একটা এজেন্সি হিসেবে এখানে কাজ করতে পারে। ঠিক হয়েছে, তারা পুরসভা ও সেচদপ্তরকে নিয়ে শহরের জল নিষ্কাশনের জন্য বৈঠক করবে। শহরে ভৌগোলিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে সমীক্ষা চালাবেন। খুব শীঘ্রই তাঁদের আসার কথা রয়েছে।
এছাড়াও শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য পুরসভা আমাদের একটি ক্লক টাওয়ার তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। যানজটের সমস্যা মেটাতেও কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে। সবগুলিই আমরা খতিয়ে দেখব। এছাড়াও পুজোর আগে শহরের ১, ২, ৫, ১৫, ১৮, ২৪, নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার করবে এসজেডিএ। গান্ধী মোড় থেকে পিডব্লুডি মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজ আমরা দ্রুত শুরু করব। এছাড়াও সমাজপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি সারাইয়েরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, সেতু সারাই করতে কয়েকজন আছে যারা জমি দেওয়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সম্মতি দেননি। তাই কাজ শুরু করতে একটু সময় লাগছে। পুজোর আগে সেই কাজ এসজেডিএ শুরু করতে চাইছে। তাতে শহরের যান চলাচল আরও মসৃণ হবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মোবাইল ভ্যান এসজেডিএ রাস্তায় নামবে। জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই ভ্যান জেলার গ্রামাঞ্চলের পাঠাবে এসজেডিএ। যাতে ভ্যাকসিন সকলেই পান।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এসজেডিএ পুরসভার বিভিন্ন প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।