রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দিল্লিতে বৈঠক বাতিল, কমিশনের গড়িমসিতে ঝুলে রাজ্যের ভোট

September 4, 2021 | 2 min read

ডেডলাইন এগিয়ে আসছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের গড়িমসি কাটার নাম নেই। শুক্রবার দিল্লিতে ফুল বেঞ্চের বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হওয়ায় ঝুলেই রইল রাজ্যের সাতটি বিধানসভার ভোট। ভবানীপুর, খড়দহ সহ রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং সাধারণ নির্বাচন বকেয়া। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে তা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কমিশনের কাজের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে অন্তত দুর্গাপুজোর আগে ভোট হ‌ওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। এদিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার আশা ছিল। নবান্নের কর্তাদের ধারণা ছিল, সেক্ষেত্রে দু’-একদিনের মধ্যে জারি করা হবে বিজ্ঞপ্তি। হঠাৎ করে সেই বৈঠক বাতিল হ‌ওয়ায় চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ভোটগ্রহণের সম্ভাবনা এক প্রকার নেই বললেই চলে। তাহলে পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও দুই আসনে নির্বাচন হবে কবে? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের মতে, একমাত্র আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তবেই পুজোর আগে ভোট হওয়া সম্ভব। এর মধ্যে ভোটের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ফলে ভোট হওয়া নিয়ে আবারও জটিলতা দেখা দিয়েছে।


দু’দিন আগেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এবং পরে চিঠি লিখে এব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, বাংলায় করোনা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। পুলিস সহ প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অতএব পুজোর আগে ভোট করা হোক। অফিসারদের বক্তব্য, সাধারণত বিজ্ঞপ্তি জারি হ‌ওয়ার ন্যূনতম ২৪ দিন পর ভোটগ্রহণ করা যায়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে মনোনয়নপত্র জমা, স্ক্রুটিনি এবং প্রত্যাহারের জন্য ১০ দিন সময় দিতে হয়। আর প্রচারের জন্য থাকে অন্তত দু’সপ্তাহ অর্থাৎ ১৪ দিন। সেই সময়সীমা কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাত্র সাতদিন সময় পেলেই নির্বাচন সম্ভব।


সাধারণ নিয়মে সেপ্টেম্বর মাসের ৬-৭ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে অক্টোবরের গোড়াতেই হতে পারে ভোট। আবার ৬ অক্টোবর মহালয়া। তার চারদিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে পুজোর ছুটি। চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের সব দপ্তর এবং কমিশনের সিইও অফিসে সেই সময় পুজোর ছুটি থাকবে। ফলে ভোটের জন্য পুজোর আগে মিলবে মাত্র তিন-চারদিন। মহালয়া থেকেই কার্যত উৎসবের রেশ শুরু হয়ে যায়। অতীতে কোনওদিন রাজ্যে পুজোর মধ্যে ভোট হয়নি। তাই মহালয়ার আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নয়তো ছুটির পর লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর মাঝের সময়ে হতে পারে নির্বাচন।


সেক্ষেত্রেও ২৪ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করা দরকার। তবে কি পুজোর মধ্যেই চলবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া? এছাড়া যে কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীর মৃত্যু বা পদত্যাগের জন্য উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী, সেখানে ছ’মাসের মেয়াদ শেষ হবে ১ নভেম্বর। সিইও অফিস অবশ্য যে কোনও সময় ভোটের জন্য‌ প্রস্তুত। নবান্ন সহ রাজনৈতিক মহল যদিও পুজোর আগে এসবের পালা মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Eci, #West Bengal, #delhi, #By Election

আরো দেখুন