দেহরক্ষী খুনে সিআইডি’র হাতে বিশেষ রেকর্ডিং, চাপে শুভেন্দু
প্রাক্তন দেহরক্ষী খুনের ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) তলব করেছে সিআইডি (CID)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করতে তৎপর সিআইডি। শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দুঁদে আধিকারিককে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে ভবানীভবনে সিআইডির দপ্তরে তলব করা হয়েছে শুভেন্দুকে। শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রশ্নপত্রও তৈরি করে রেখেছে সিআইডির আধিকারিকরা। শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন এক এএসআইয়ের কাছে।
জানা গিয়েছে, শুভব্রত চক্রবর্তীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন এক এএসআই। তাঁর কাছেই তখন মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন শুভব্রত। সেই এএসআই–এর বয়ান সিআইডি’র অন্যতম হাতিয়ার। ইতিমধ্যেই মৃত নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রীয়ের অভিযোগ, ‘আমার স্বামী তখন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আর কর্মরত অবস্থায় আমার স্বামীর গায়ে কীভাবে লাগল গুলি? গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কেন দেরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল? এই সব প্রশ্নের উত্তর চাই। বিচার চাই। এতদিন ভয়ে আতঙ্কে চুপ করে ছিলাম। এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। তাই সাহস করে মুখ খুলেছি। আমার স্বামীর মৃত্যুর ন্যায়বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।’
সূত্রের খবর, সোমবার যদি শুভেন্দু অধিকারী হাজিরা না দেন, তাঁকে ফের তলব করা হবে। সোমবার সকালে ১১টা নাগাদ ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তবে শুভেন্দু এই সিআইডি’র ডাকে সাড়া দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটেছিল। একটি ফোনে শুভব্রতর স্ত্রী জানতে পারেন, তাঁর স্বামী নাকি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুভব্রতকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। শুভব্রতর পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম কোনও মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালো সিআইডি।