বাড়ছে ক্ষোভ, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতনে প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতনে প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত। তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে শনিবার টিএমসিপি সহ তিনটি আলাদা সংগঠন বোলপুর-শান্তিনিকেতনের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল করে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে প্রতিবাদী মঞ্চ সরিয়ে নিলেও ৫০মিটার দূরে ফের অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন পড়ুয়ারা। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ফল প্রকাশ ও ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করেছে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University ( কর্তৃপক্ষ। এদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আরও বড়সড় আন্দোলনের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এদিন ফের পডুয়াদের আন্দোলন সমর্থন করে উপাচার্যকে পাগল বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, উনি বিশ্বভারতীকে শেষ করতে চলেছেন, রবীন্দ্রনাথকে মুছতে চলেছেন। সেন্ট্রাল অফিস অফিস লাগোয়া দু’টি গেটে তালা লাগানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিস গেট খুলে দিয়েছে। এতে আশ্রমিক ও সাধারণ মানুষের উপকার হয়েছে। অনেকদিন ধরেই তাঁরা ঘুরপথে যেতে বাধ্য হচ্ছিলেন। ছাত্রদের ক্ষতি করে উপাচার্য ঘরে বসে থাকবেন, তা হতে দেব না। উপাচার্যের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে আরও ভয়ঙ্কর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিন সকালে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বোলপুরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দান থেকে প্রায় দু’হাজার সদস্য মিছিলে শামিল হন। মিছিল সেন্ট্রাল অফিস যাওয়ার রাস্তার মূল ফটক পর্যন্ত এসে ফের ডাকবাংলো ময়দানে ঘুরে যায়। পরে তাদের একটি প্রতিনিধি দল অবস্থানরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, উপাচার্য স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছি। আগামী দিনেও লাগাতার আন্দোলন চলবে। একইভাবে এদিন দফায় দফায় শান্তিনিকেতনের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল করে ডিএসও ও বাংলা পক্ষ। দুই সংগঠনের সদস্যরা উপাচার্যের একনায়কতন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে ফেরানোর দাবিতে সরব হন। পাশাপাশি, অধ্যাপকদের সাসপেনশন প্রত্যাহার সহ উপাচার্যের নানাবিধ বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখার ব্যাপারটি সামনে নিয়ে এসে ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফলাফল প্রকাশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট ভর্তিপ্রক্রিয়া ও ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার রাতে তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্বভারতী। যদিও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, দু’টি ক্ষেত্রে উপাচার্যের তেমন কোনও ভূমিকা নেই। তবুও বিশ্বভারতী তাঁদের আন্দোলন থামাতে এসব করেছিল। তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের প্রতিবাদে শান্তিনিকেতনের রাস্তায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল এআইডিএসও’র।