ভবানীপুরে চলতি সপ্তাহেই প্রথম নির্বাচনী প্রচার সভা করবেন মমতা
উপনির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে শনিবারই। নির্বাচন কমিশন ভবানীপুরে ভোটের দিন ঘোষণা করতেই জোর প্রস্তুতি শুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে। রবিবার তৃণমূল আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী মমতাই। এবার ভোট প্রচারেও নেমে পড়ছেন তৃণমূলের এই হেভি ওয়েট প্রার্থী। আগামী বুধবার নিজের কেন্দ্রে প্রথম নির্বাচনী সভা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে বেলা ৩টেয় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
উপনির্বাচনও যে এতটা হাইভোল্টেজ হতে পারে, একুশের বিধানসভা ভোট না হলে তা বোধহয় আন্দাজই করা যেত না। ভোটে হেরে গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর পদে তাঁকে থাকতে গেলে ছ’ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। না হলে অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়বে এই পদের ভবিষ্যৎ। নানা জল্পনা ছিল উপনির্বাচন নিয়ে। আদৌ ছ’ মাসের মধ্যে এই ভোট হবে কি না তাও সংশয়ের মুখে ছিল। এ সবেই মধ্যেই গত শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, কেবল মাত্র ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেই উপনির্বাচন হবে।
শনিবারই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হবে রাজ্যের তিন কেন্দ্রে। একটিতে উপনির্বাচন। দুই কেন্দ্রে সম্পূর্ণ ভোট। ৬ সেপ্টেম্বর থেকেই আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচনের কেন্দ্র ভবানীপুর ও পূর্ণাঙ্গ ভোটের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকায়। ভোটের ফল প্রকাশিত হবে ৩ অক্টোবর। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষদিন।
ভবানীপুর বাদে আরও চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। শান্তিপুর, দিনহাটা, খড়দহ এবং গোসাবা। খড়়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ফলপ্রকাশের আগের দিনই প্রয়াত হন। ফলে ৬ মাসের মেয়াদ ফুরোবে ১ নভেম্বর। অন্যদিকে, ভোটে জয়লাভ করে ১২ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। তাঁদের কেন্দ্র শান্তিপুর ও দিনহাটার মেয়াদ ১১ নভেম্বর শেষ হয়ে যাবে। সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হবে গোসাবার। গত ১৯ জুন তৃণমূলের বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের মৃত্যু হয়। তাই ১৮ ডিসেম্বর মেয়াদ ফুরোবে গোসাবার। সূত্রের খবর, এই চার কেন্দ্রে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পুজোর পরই।