ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল সিপিএম, জমানত জব্দ না হওয়াটাই চ্যালেঞ্জ দলের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে কে হচ্ছেন CPIM-এর প্রার্থী? নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নানা জল্পনা ঘুরছিল রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সামনে এল নাম। ভবানীপুর উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস (Shrijeeb Biswas)। CPIM প্রার্থী শ্রীজীব আলিপুর আদালতের আইনজীবী বলে জানা যাচ্ছে। তবে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, সংযুক্ত মোর্চা নয়, বামফ্রন্ট মনোনীত CPIM প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে লড়বেন তিনি। এমনকী প্রচারেও কোথাও সংযুক্ত মোর্চার নাম ব্যবহার করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ায়, CPIM প্রার্থীর প্রচারে হাত শিবির অংশগ্রহণ করবে না বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে CPIM রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় যুবক তথা এলাকার বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনীত করা হয়। আলিপুর আদালতের আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস এলাকার পরিচিত মুখ। শ্রীজীব ছাড়াও DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছল। এদিন বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নাম ঘোষণা করবেন বিমান বসু। এমনটাই আলিমুদ্দিন সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের প্রার্থীর নামও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সামশেরগঞ্জে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন CPIM প্রার্থী মহম্মদ মোদাসসর হোসেন এবং জঙ্গিপুরে প্রার্থী হচ্ছেন RSP প্রার্থী জানে আলম মিঞা। সেই নামগুলিও এদিন ঘোষণা করা হবে।
জানা গিয়েছে, প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর এদিন বিকেল থেকেই প্রচার শুরু করবে CPIM। তবে সংযুক্ত মোর্চার নামে কোনও প্রচার হবে না। CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বামফ্রন্ট মনোনীত CPIM প্রার্থী হিসেবেই প্রচারে নামবেন শ্রীজীব। কংগ্রেসকেও প্রচারে নামার জন্য কোনওরকম আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলেই দলীয় সূত্রে খবর।
এবার বিধানসভায় ধরাশায়ী নির্বাচনের পরই তারা প্রার্থী দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় প্রদেশ ভবন। প্রসঙ্গত, ফরওয়ার্ড ব্লক সহ বাম শরিকদের সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। সম্প্রতি বামেদের পর্যালোচনাতেও কেন্দ্রীয় কমিটির সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকেও কার্যত ‘সংযুক্ত মোর্চা’ শব্দটিকে খণ্ডন করা হয়েছে। সেই কারণেই কি ভবানীপুরে এককভাবে লড়াইয়ের পথ বেছে নিল বামেরা? নাকি জোট শরিক হিসেবে কংগ্রেসের ভোলবদলের জেরেই প্রেস্টিজ বাঁচাতে সংযুক্ত মোর্চার নাম আনতে চাইছে না আলিমুদ্দিন? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।