২৫টি পুরসভায় ১০০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে রাজ্য
টিকাকরণে গতি এসেছে রাজ্যে। ১২৬টির মধ্যে অন্তত ২৫টি পুরসভা ১০০ শতাংশের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ দিয়ে ফেলেছে। তবে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ও ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় দু’টি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন ১০০ শতাংশের বেশি মানুষ। রাজ্যে আর কোনও পুরসভা এই মাইল ফলক ছুঁতে পারেনি। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পুরসভা এলাকায় টিকাদানের হার (১৩৭%) রাজ্যে সর্বোচ্চ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলেই পুরভোট হতে পারে, এই লক্ষ্যে পুর এলাকায় টিকাকরণের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছিল। টিকাদানের দৈনিক হার অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি পুরসভা দিনে ১০ হাজার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। টিকার অপ্রতুলতার মধ্যেও রাজ্যের বহু পুরসভা এলাকায় একটি করে ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্যভবনের টিকাদানের হিসেব বলছে, আঠারো ঊর্ধ্ব ৯০-৯৯ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এমন পুরসভার সংখ্যা দশের বেশি। এই তালিকায় তুফানগঞ্জ, মাল, ঝাড়গ্রাম ইত্যাদি পুরসভা আছে।
তবে ১০০ শতাংশ মানুষ টিকা পেলেও সেখানে টিকাদান থেমে নেই। আশপাশের এলাকা থেকে অনেকে আসছেন টিকা নিতে। তাই অনেক পুরসভা এলাকায় দেখা যাচ্ছে, টিকাদানের হার ১০০ শতাংশের বেশি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, সর্বপ্রথম দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করে ডায়মন্ডহারবার পুরসভা নজির সৃষ্টি করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, পাড়ায় পাড়ায় প্রচারের পাশাপাশি মানুষকে টিকা কেন্দ্র নিয়ে যেতে পেরেছে প্রশাসন। ফলে ভ্যাকসিন নিতে কারও অসুবিধা হয়নি।
মেখলিগঞ্জ ছাড়াও কোচবিহার পুরসভা তাদের এলাকার বাসিন্দাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করতে চলেছে। সব মিলিয়ে পাঁচটি পুরসভা রয়েছে, যারা দ্বিতীয় ডোজ শেষ করার দৌড়ে এগিয়ে আছে। বুধবার পর্যন্ত যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে এই তালিকায় বালুরঘাট, কৃষ্ণনগর, টাকির মতো পুরসভা রয়েছে। তবে নদীয়ায় সাতটি পুরসভা ১০০ শতাংশের বেশি মানুষকে অন্তত একটি ডোজ দিয়েছে। তারপরই স্থান দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচটি পুরসভার। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি বড় পুরসভা প্রথম ডোজ দেওয়ার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। যেমন হাওড়া পুরসভা এলাকায় ৫০ শতাংশের মতো মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ৪৬০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজ দিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গিয়েছেন ১৯০ শতাংশের বেশি মানুষ। এই এলাকায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৯ হাজার ৯৮৪ জন আছেন। অথচ প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৯০ জন। রাজ্যের ১২৬টি পুরসভার হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ প্রথম এবং ২৫ শতাংশের সামান্য বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।