রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ত্রিপুরার নারকীয় অবস্থাই ভবানীপুরে প্রচারের অন্যতম অস্ত্র তৃণমূলের

September 10, 2021 | 2 min read

বিজেপি বিরোধিতায় ভবানীপুরের প্রচারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। দলের সুপ্রিমোর প্রচারে তুলে আনা হচ্ছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার অবস্থাও। বিভিন্ন সময় ধরে যে ভাবে ত্রিপুরায় গিয়ে কখনও জয়া, সুদীপ, কখনও আবার অপরুপা পোদ্দার আক্রমণের শিকার হয়েছেন তার সবটাই তুলে আনা হবে ভবানীপুরের ভোট প্রচারে।

সূত্রের খবর, রাজ্যের এই হাইপ্রোফাইল বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলেও এক ইঞ্চি ফাঁক রাখতে রাজি নয় তৃণমূল। তাই বিজেপি-র শাসনকালে ত্রিপুরায় মানুষের অবস্থা কী, তা প্রচারে তুলে আনছে বাংলার শাসক দল। ভবানীপুর কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্যে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। চেতলায় একটি কর্মিসভা করেছেন। সেখানে তিনিও তুলে ধরেছেন ত্রিপুরার অবস্থা। ত্রিপুরায় যেভাবে বারবার দলের সাংসদ, নেতারা আক্রান্ত হয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ তাঁর দলের কর্মীদের সামনে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্য দিকে, গত দু’দিন ধরে বার বার যেভাবে ত্রিপুরা থেকে একাধিক অশান্তির খবর এসেছে তা নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। আর ত্রিপুরার এই অবস্থাকেই ভবানীপুরের প্রচারে অন্যতম অস্ত্র করছে শাসক দল। প্রচারে থাকছে, বাংলার ভোটে বিজেপির একের পর এক নেতা এসে বসে ছিলেন। তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি। অথচ ত্রিপুরায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাওয়া রাজনৈতিক দলকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরায় ১০১২৩ জন শিক্ষকের চাকরির অনিশ্চয়তার বিষয়টিও প্রচারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।

বিপ্লব দেব সরকারের আমলে ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডা আসছে বলে বার বার সরব হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতারা। ভবানীপুরের ভোট প্রচারেও বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করবে তৃণমূল৷ একই সঙ্গে ত্রিপুরায় একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও মানবাধিকার কমিশন কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, সেই প্রশ্নও তোলা হবে প্রচারে। বাংলার সঙ্গে দ্বিচারিতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে এই অভিযোগ সামনে রেখেই তারা প্রচার করতে চায় শাসক দল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tripura, #Bhawanipur, #TMC Tripura

আরো দেখুন