রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

তিনটি নতুন ডেটা সেন্টার গড়ে উঠছে রাজ্যে, বাড়বে কাজের সুযোগ

September 11, 2021 | 2 min read

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রকে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তৈরি হচ্ছে সিলিকন ভ্যালি। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেত্রে আরও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে তিনটি নতুন ডেটা সেন্টার। রিলায়েন্স গোষ্ঠী ছাড়াও আরও দু’টি বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এরাজ্যে ডেটা সেন্টার তৈরি করবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তার জন্য ইতিমধ্যেই জমি বরাদ্দ করেছে নবান্ন। এদিকে, ডেটা সেন্টারের জন্য বেশ কিছু আবেদন জমা পড়ায় এ সংক্রান্ত নতুন নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা দেশে যে পরিমাণ ইন্টারনেট ব্যবহার হয়, তার ২৫ শতাংশই লেগে যায় আমাদের রাজ্যে। তাই ডেটা সেন্টার তৈরি করতে পারলে বড় সংস্থাগুলি এরাজ্য থেকে ডেটা সংগ্ৰহ করবে। ডেটা সেন্টার থেকে যেসব সার্ভিস পাওয়া যায়, সেগুলি হল, ডেটা স্টোরেজ, ম্যানেজমেন্ট ব্যাক আপ ও রিকভারি, প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশন যেমন ই-মেইল, হাই ভলিউম ই-কমার্স, অনলাইন গেম অ্যাপ্লিকেশন, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রভৃতি।

সরকারি ও বেসরকারি সব বড় সংস্থারই নিজস্ব ডেটা সেন্টার রয়েছে। আমাজন, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে যেমন তথ্য পাওয়া যায়, সেভাবেই ডেটা সেন্টার থেকে তথ্য ভাড়া নেয় সংস্থাগুলি। রাজ্যে ডেটা সেন্টার হলে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে বাংলা। অনেক সময় সার্ভার ডাউন হয়ে গেলে কাজ থমকে যায়, সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। 

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এখন অনেক সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কাজ হয় অনলাইনে। ইন্টারনেট ছাড়া এখন কোনও কাজই সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে ডেটা সেন্টার গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে তিনটি ডেটা সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি নিউটাউনে। সেখানেই গড়ে উঠছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের অফিস। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে ২০০ একর জায়গার উপরে সিলিকন ভ্যালির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে ১০০ একরের বেশি জমি নিয়ে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। এখানে দক্ষ শ্রমিক থাকায় আইটি’র ক্ষেত্রে ওই সব সংস্থাগুলির নজর বাংলায়। সে কারণেই ডেটা সেন্টার খুবই উপকারী হবে বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#data centres

আরো দেখুন