অর্ধেক রাজ্যবাসীই পেয়েছেন করোনা টিকার প্রথম ডোজ
পুরোদমে টিকাকরণ। এছাড়া করোনা সংক্রমণে লাগাম পরানোর অন্য কোনও উপায় নেই। আর তাই করোনা ভ্যাকসিন যাতে প্রতিটা ঘরে পৌঁছয়, সে নিয়ে জোরকদমে নেমেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে দরবার করে ভায়াল আনানো এবং তার প্রয়োগ—এটাই এখন রাজ্য প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য। তারই সুফল মিলতে শুরু করেছে। কারণ তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধেক রাজ্যবাসী করোনার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। হিসেব অনুযায়ী, ১৮ উর্ধ্ব সাত কোটি রাজ্যবাসীর টিকা পাওয়ার কথা। শনিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তার মধ্যে ৩ কোটি ৩৮ লক্ষের বেশি রাজ্যবাসী প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। এই পরিসংখ্যানটা প্রায় ৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২০ শতাংশ বঙ্গবাসী। অর্থাৎ, সংখ্যার বিচারে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ—রাজ্যের প্রতি পাঁচজনে একজন।
শহরাঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ। এখন স্বাস্থ্যদপ্তরের ‘পাখির চোখ’, দ্রুত গ্রামীণ এলাকার টিকাকরণ শেষ করা। হিসেব বলছে, ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের শহরাঞ্চলে টিকা দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬১০ জনকে। সেখানে ওই দিন গ্রামাঞ্চলে টিকা পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৩৭ জন। ৮ সেপ্টেম্বর শহরাঞ্চলের টিকার হিসেব—২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭০৯। সেদিনই বাংলার গ্রামীণ এলাকার ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১৭ জন টিকা পেয়েছেন। ১০ সেপ্টেম্বর শহরাঞ্চলে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৫১ জন, আর গ্রামাঞ্চলে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৮৮ জন।
শনিবার রাজ্য সরকারের হেলথ ডিরেক্টরেটের টিকাকরণের শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক রাজ্যবাসী প্রথম ডোজ টিকা পেয়ে গিয়েছেন। এখন আমাদের টিকাকরণের ভরকেন্দ্র গ্রামবাংলা। কারণ, সেখানেই ৬৫ শতাংশ মানুষের বসবাস। রোজ যা টিকাকরণ হচ্ছে, তার ৬০ শতাংশই হচ্ছে গ্রামবাংলায়। আর শুধু ভ্যাকসিন দেওয়াই নয়, রাজ্যে টিকাকরণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশনও (এইএফআই) হচ্ছে নগণ্য। প্রতি এক লক্ষ টিকাকরণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মাত্র আটজনের।