যোগীর উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে মা উড়ালপুলের ছবি! সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা
উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় হলুদ ট্যাক্সি চলে নাকি? যোগী রাজ্যেও রয়েছে নীল-সাদা উড়ালপুল? রবিবার সকালে সংবাদপত্রের পাতাজুড়ে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) প্রচার বিজ্ঞাপনে হলুদ ট্যাক্সি আর কলকাতার চেনা রাস্তা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল সকলের। মুহূর্তেই বোঝা যায় সেটি উত্তরপ্রদেশ নয়, এ শহরের মা উড়ালপুল (Maa Flyover)। আর তাতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলাকে নকল করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে যোগী সরকার। কটাক্ষ ছুঁড়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এবার বিজ্ঞাপনটি নিয়ে ফেসবুক ছয়লাপ হয়েছে গিয়েছে মিমে। যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে একের পর এক মিম তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রীতিমতো ভাইরাল মিমগুলি। যোগীকে বিঁধে নেটিজেনদের কটাক্ষ, ‘মা কি তোর একার রে পাগলা!’
কোনও স্থান কিংবা ব্যক্তির নাম বদলে ফেলার ক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথের জুড়ি মেলা ভার। এর আগেও বহুবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক স্থানের নাম পরিবর্তন করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে দেদার মিম তৈরি করেছেন নেটিজেনরা। সেই সব মিম নিয়ে মজা লুটতে দেখা গিয়েছে সকলকেই। আর এবার মা উড়ালপুলের ছবি যোগীর বিজ্ঞাপনে দেখে ঠাট্টা-তামাশা করতে শুরু করেছে নেটপাড়া। কোনও মিমে দেখা যাচ্ছে খোদ যোগী মা উড়ালপুলের নাম বদলে সেটিকে ‘বাপ ফ্লাইওভার’ নাম দিচ্ছেন। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে মোদী-যোগীর কথোপকথন। যেখানে দেখা যাচ্ছে যোগী বলছেন এর নাম বদলে তিনি ‘যোগী ঝুলা’ রাখবেন। রবিবাসরীয় সকালে নেটিজেনদের কাছে যেন মুখরোচক এক টপিকে পরিণত হয় যোগী আদিত্যনাথের এই উন্নয়ন বিজ্ঞাপন। মনের পছন্দ মতো মিম তৈরি করে তাতে যোগীর মুখ বসিয়ে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হচ্ছে মিমগুলি। নেটিজেনরা কেউ কেউ কটাক্ষের সুরে যোগীর মুখ দিয়ে লিখেছেন, ‘মা কি তোর একার রে পাগলা, মা সবার।’
ঘটনার সূত্রপাত, রবিবার সকালে এক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রথম পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন ঘিরে। ‘ট্রান্সফর্মিং উত্তরপ্রদেশ আন্ডার যোগী আদিত্যনাথ…’। বিজ্ঞাপনের ছবিতে বাঁ-দিকে দেখা যাচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের বিশালাকার ছবি। ডানদিকে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের খতিয়ান। নির্বাচনের আগে মূলত যোগী রাজ্যের উন্নতির মাইলফলক আঁকতেই এই বিজ্ঞাপন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, সেই উন্নয়নের ছবিতেই বিপত্তি। কলকাতার মা উড়ালপুলের একটি টার্নের ছবি যোগী সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানে ব্যবহৃত হয়। বিষয়টি দেখে তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।