কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন সূর্যর
কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শনিবার মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। এদিন তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় যোগ দিতে মেদিনীপুরে এসেছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সম্পাদক তরুণ রায়ও উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে সূর্যবাবু বলেন, ওঁদের ডাকুন, যতবার খুশি ডাকুন। কিন্তু, যিনি বিজেপিতে চলে গেলেন, তাঁকে তো একবারও ডাকেননি। তাঁরও তো মামলা আছে। ওই যে বিধানসভার নেতা না কী একটা, তাঁকে ডাকছেন না কেন? বেছে বেছে ডাকার তো কোনও মানে হয় না। এসব কাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের সবার তদন্ত হওয়া উচিত। রিপোর্ট দেওয়া উচিত। সাত বছর হয়ে গেলে তদন্ত হচ্ছে। আর কতদিন চলবে? আমরা বলব এক একটা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে ডাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী হলেও ডাকতে হবে, বিরোধী দলনেতা হলেও ডাকতে হবে।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ওখানে কংগ্রেস প্রার্থী দিলে, সমর্থন করতাম। ওরা প্রার্থী না দিলে আমরা তো তৃণমূলকে ছেড়ে দিতে পারি না। তাই প্রার্থী দিয়েছি। বিধানসভা ভোটে মানুষ বুঝেছিল তৃণমূলই পারবে বিজেপিকে আটকাতে। আমরা পরব না। তাই তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এর আগে মানুষ ভেবেছিলেন, তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপিকেই মদত দিতে হবে। তাই দিয়েছিলেন। যাওয়া আসা তো চলছেই। তবে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। গত তিন বছর ধরে পুরসভা নির্বাচন না করানোরও তিনি প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন না করা, কমিটি বসিয়ে দেওয়া সবই সংবিধান বিরোধী।