দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কারা এখনও টিকা নেননি? বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন আশাকর্মীরা

September 13, 2021 | 2 min read

বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকায় ৯০ শতাংশের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন মনে করছে, এখনও কিছু মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আসেনি। তাদের খুঁজে বের করতে এবার আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি সমীক্ষায় নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার বলেন, এক সপ্তাহের বিশেষ কর্মসূচিতে এই পুর এলাকার সিংহভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি কেউ বাকি থাকেন, তাদের খুঁজে বের করার জন্য আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি খোঁজ করবেন।


করোনা সংক্রমণ এই পুর এলাকায় সব থেকে বেশি চিন্তায় ফেলেছিল প্রশাসনকে। সেজন্য তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সবাইকে যাতে অন্তত একটি ডোজ দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ হাজার টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়। টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন লক্ষ (১৮ বছরের ঊর্ধ্বে)। এক সময় এই পুর এলাকায় টিকাদানের হার ছিল ৩০ শতাংশ। সেটা এক সপ্তাহেই ৯০ শতাংশ ছড়িয়েছে। কলকাতা ঘেঁষা হওয়ার কারণে অনেকেই কলকাতা থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। ফলে একেবারে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হবে না এখানে। কিন্তু সেই সংখ্যা বাদ দিয়েও এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের এখনও ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতি অনীহা রয়েছে বা কোনও কারণে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে উঠতে পারেননি। সেই সংখ্যাটি কত, এবার সেটাই বের করার কাজ শুরু হবে।


মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে জোর করা যায় না। যাঁরা নেননি বা নিতে আগ্রহী নন, তাঁদের বোঝানো হবে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাসিন্দাদের রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ। সোম কিংবা মঙ্গলবার আশাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করার দিনক্ষণ ঠিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সোনারপুর ব্লকেও দ্রুত ১০০ শতাংশ টিকাকরণের জন্য ঝাঁপিয়েছে জেলা প্রশাসন। গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু এক হাজার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#asha workers, #vaccine, #Vaccination, #West Bengal

আরো দেখুন