দেশ বিভাগে ফিরে যান

প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্দেজ, শোকপ্রকাশ মমতার

September 13, 2021 | < 1 min read

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। প্রায় দেড় মাস আগে বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে অস্কারকে মেঙ্গালুরু শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

অস্কারের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল সত্তরের দশকের গোড়ায়। ১৯৭৫ সালে কর্ণাটকের উদুপি পুরসভার ভোটে জিতে কাউন্সিলর হন তিনি। ১৯৮০ সালে উদুপি লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ পর্যন্ত টানা পাঁচবার ওই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯-তে হেরে যান। পরবর্তী সময়ে একাধিক বার রাজ্যসভার সাংসদও হন।

রাজীব গাঁধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সংসদীয় সচিবের দায়িত্বে ছিলেন অস্কার। পরে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। দু’দফায় কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও হয়েছেন।

কংগ্রেস রাজনীতিতে বরাবরই গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন অস্কার। সনিয়া গাঁধী কংগ্রেস সভানেত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বৃত্তে চলে এসেছিলেন। মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রথম ও দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ, পরিকল্পনা রূপায়ণ ও পরিসংখ্যান, শ্রম, সড়ক-সহ নানা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন।

অস্কারের বাবা রোকে ফার্নান্ডেজ ছিলেন কর্নাটকের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। মা লিওনিসা ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট। রাজনীতিকের পাশাপাশি কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি ছিল অস্কারের। করেছেন সাংবাদিকতাও। কংগ্রেস মুখপত্র সম্পাদনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। অস্কারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে নেটমাধ্যমে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান লিখেছেন, ‘দলের তাঁর প্রতি আদর্শগত আনুগত নতুন প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আপনাকে মিস করব স্যর।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী লিখেছেন, ‘অস্কারের মধ্যে সহমর্মী এবং সনানুভূতিশীল আত্মার সন্ধান পেয়েছিলাম। তাঁর মৃত্য়ুতে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হল।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#RIP, #Oscar Fernandes, #Congress

আরো দেখুন