টিকার দুটি ডোজ নিয়েও অনেকের শরীরে ঘাটতি অ্যান্টিবডির, ভাবনা বুস্টার ডোজের
করোনা টিকার দু’টি ডোজ নিয়েও দেহে অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়েনি অনেকের। শীঘ্রই তাঁদের জন্য বুস্টার ডোজের অনুমতি দিতে পারে আইসিএমআর। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেসের ডিরেক্টর ডাঃ অজয় পারিদা। সেখানকার সদস্যদের উপর চালানো সমীক্ষাতেই টিকার দু’টি ডোজপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির ঘাটতি সামনে এসেছে। ডাঃ পারিদা জানিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করা হতে পারে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকের শরীরেই ৩০ থেকে ৪০ হাজার অ্যান্টিবডির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দু’টি ডোজ নেওয়ার পর অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা ৫০। সাধারণত তা ৬০ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকলে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে অ্যান্টিবডি পজিটিভ বলা যায়। তার নীচে থাকলে অ্যান্টিবডি নেগেটিভ।
করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষায় দেশব্যাপী ২৮টি ল্যাবের সম্মিলিত নেটওয়ার্ক ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেস। তাদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার চার থেকে ছ’মাস পর দেহে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করছে। অ্যান্টিবডির সংখ্যা ৫০-এর নীচে থাকা ব্যক্তিদেরই বুস্টার ডোজ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাঃ পারিদা। তাঁর কথায়, কোভিশিল্ড বা কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ, স্বাভাবিক নিয়মে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি নেগেটিভ। ফলে এই সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আইসিএমআর বুস্টার ডোজের অনুমতি দিতে পারে বলেই তাঁর অনুমান। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এখনও এই সংক্রান্ত অনুমতি দেয়নি। টিকা প্রয়োগের পরিসংখ্যানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যেকার ফারাকই তার প্রধান কারণ। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে কোনও সময় বুস্টার ডোজ ব্যবহারের অনুমতি মিলতে পারে বলে আশা ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্সেস ডিরেক্টরের। অন্যদিকে, ভারতে এখনও পর্যন্ত টিকার ৭৪ কোটির বেশি ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। রবিবার একথা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।