রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জের, আট লক্ষাধিক শংসাপত্র দিল অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর

September 14, 2021 | 2 min read

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার কর্মসূচির সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিষেবার সুযোগ পেতে লম্বা লাইন পড়ছে বিভিন্ন সরকারি শিবিরে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সাধারণ জাতীয় মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা ও তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মহিলারা এই সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে নিজেদের শংসাপত্রের জন্য রেকর্ড সংখ্যক আবেদন করেছেন বলেই খবর। অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন দপ্তর জানাচ্ছে, গত দেড় মাসে আট লাখের বেশি শংসাপত্র বিলি করেছে তারা। সরকারি সূত্রে খবর, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষের কিছু বেশি মহিলা আবেদন জানিয়েছেন। তার মধ্যে একটা বড় অংশই রয়েছেন তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ও ওবিসি আওতাভুক্ত মহিলা।

অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের সচিব সঞ্জয় থারে বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবির থেকেই পাঁচ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। আর দুই লক্ষ ৮০ হাজার শংসাপত্র সাধারণ পদ্ধতিতে বিলি করা হয়েছে। আট লক্ষ ১০ হাজার শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে। সেই কাজ এখনও চলছে।’’ শংসাপত্র পেতে এমন বিপুল চাপ প্রসঙ্গে দপ্তরের ব্যাখ্যা, শংসাপত্রের এই বিপুল চাহিদার কারণ বাড়ির মা-বোনেরা সাধারণত গৃহবধূ হিসেবে থাকতেন। তাঁদের শংসাপত্রের বিশেষ প্রয়োজন হত না। কিন্তু সরকার যেহেতু এখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আর্থিক ভাতা দেওয়া চালু করেছে, তাই সেই ভাতা পেতে মা-বোনেরা বিশেষভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই যাঁদের এই ধরনের শংসাপত্র ছিল না, তাঁরাও শংসাপত্র পেতে আবেদন করছেন। কারণ শংসাপত্র না থাকলে তাঁরা ৫০০ টাকা পাবেন। আর শংসাপত্র থাকলে সেই ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

করোনা সংক্রমণের কারণে কোনও ব্যক্তি দুয়ারে সরকার শিবিরে না এসে অনলাইনে জাতি শংসাপত্র পাওয়ার আবেদন করতে চান, সেই ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তবে অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন দপ্তর মনে করছে, যে ভাবে দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনের হিড়িক চলছে, এই সংখ্যাটা কমপক্ষে ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি রাখছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Lakshmir Bhandar, #backward community, #certificates

আরো দেখুন