গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে মন্ত্রী সাবিনা
সোমবার রাজ্যের সেচদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বৈষ্ণবনগরে গঙ্গার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রও ছিলেন। মন্ত্রী এদিন ভাঙন নিয়ে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙন মোকাবিলায় দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে বলে সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এদিন আমি ও জেলাশাসক দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছি। শনিবার থেকে শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুনর্বাসনের জন্যও আমরা আলোচনা করব। ফরাক্কা ব্যারেজের জন্যই বৈষ্ণবনগরে ভাঙন সমস্যা তীব্র হয়েছে। ওই এলাকায় ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ কাজ করছে না। এনিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আমরা মানুষের জন্য আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু তারা তা করছে না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। পরে বিস্তারিত কর্মসূচি জানানো হবে। এদিকে, ওই এলাকায় বিননগর উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। অন্যান্যবার বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনে দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়া হতো। এবার ওই বিদ্যালয়টিও ভাঙনের কবলে পড়তে চলেছে। এ ব্যাপারে জেলাশাসক বলেন, বিদ্যালয়ের কাছাকাছি গঙ্গা চলে এসেছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের একটি শৌচালয় নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। মূল ভবন কিছুটা দূরে রয়েছে।
তবে লাগোয়া অন্য একটি ভবন দু-তিন দিনের মধ্যে ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাত থেকে বৈষ্ণবনগরের বিননগর পঞ্চায়েত এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গঙ্গার গ্রাসে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ভাঙন আটকানো না গেলে গোটা এলাকা গঙ্গা গ্রাস করে ফেলবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন। এনিয়ে শেখ মহরম, বিধান সরকার বলেন, বিননগর উচ্চ বিদ্যালয় আমাদের এলাকায় একমাত্র বড় স্কুল। সেখানে হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। বহু টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয় ভবন তৈরি হয়েছে। তা নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এনিয়ে এদিন মন্ত্রী ও জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।