রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এস সি, এস টি পড়ুয়াদের জন্য ফ্রি কোচিংয়ের উদ্যোগ রাজ্যের

September 14, 2021 | 2 min read

ছবি: প্রতীকী

 রাজ্যের ২০টি জেলায় ৩৪টি কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোচিং ক্লাস করাবে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। আজ, মঙ্গলবার থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হচ্ছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরাই তাতে আবেদন করতে পারবেন। তার জন্য কোনওরকম ফি লাগবে না। বরং ক্লাস চলাকালীন ছাত্রছাত্রীরা প্রতি মাসে ৩০০টাকা করে স্টাইপেন্ড পাবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এছাড়াও www.anagrasarkalyan.gov.in অথবা www.wbbcdev.gov.in এই দু’টি ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র জমা নেওয়ার শেষ তারিখ ২৫সেপ্টেম্বর। প্রতিটি কেন্দ্রে ৪০জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতামান করা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগ ও স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা কোচিং ক্লাসে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।  রাজ্য সরকারের ওই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তফসিলি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। 

বাঁকুড়া জেলা এসসি, এসটি ফিনান্স কর্পোরেশনের ম্যানেজার শান্তিরাম গড়াই বলেন, গোটা রাজ্যের সঙ্গে বাঁকুড়ায় দু’টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ভর্তির পর চলতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথমেই অফলাইনে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোচিং ক্লাস শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা ক্লাস নেবেন। রাজ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বহু কোচিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে মোটা টাকা খরচ করলে তবেই ভর্তি হওয়া যায়। কিন্তু, পিছিয়ে পড়া তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক কারণে সেখানে পড়ার সুযোগ পান না। তাই ওই দুই পরীক্ষায় যাতে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি বেশি করে পড়ার সুযোগ পায়, সেজন্য রাজ্য সরকার ওই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বাধিক ৪০জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন। তার জন্য মাধ্যমিক অথবা সমতুল্য পরীক্ষায় তফসিলি জাতি সম্প্রদায় ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে অন্তত ৬০শতাংশ এবং তফসিলি উপজাতির ক্ষেত্রে ৫০শতাংশ নম্বর থাকলে তবেই তাঁরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সেই সঙ্গে তফসিলি জাতির ক্ষেত্রে পরিবারের বার্ষিক আয় দু’লক্ষ টাকা এবং তফসিলি উপজাতির ক্ষেত্রে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে। 


দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪পরগনার বাগদার হেলেঞ্চা, বারাসতের নোয়াপাড়া, ব্যারাকপুরের নৈহাটি ও বসিরহাট,  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুর ও ডাইমন্ডহারবার, বাঁকুড়ায় বাঁকুড়া সদর ও খাতড়া, হাওড়ার বাগনান,  ঝাড়গ্রাম সদর, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সদরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর ও খড়্গপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও খেজুরি, পুরুলিয়ার মানবাজার ও পুরুলিয়া সদর, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ও আলিপুরদুয়ার সদর,  বীরভূমের সিউড়ি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ চলবে। কোচবিহার সদর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং সদর, হুগলির তারকেশ্বর, জলপাইগুড়ির মালবাজার ও জলপাইগুলি সদর, কালিম্পং সদর, মালদহের চাঁচল ও মালদহ সদর, নদীয়ার কৃষ্ণনগর ও কল্যাণীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলার যে কোনও প্রান্তের বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট জেলার যে কোনও কেন্দ্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #free coaching

আরো দেখুন