এবার হোয়াটসঅ্যাপে পথবাতি নিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে, জানাল শিলিগুড়ি পুরসভা
শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পথবাতি নিয়ে অভিযোগ দীর্দিনের। মাঝেমধ্যেই পুরসভার বেশকিছু এলাকার রাস্তায় দিনের পর দিন পথবাতি জ্বলে না। অভিযোগ, পুরসভার খবর দিলেও সময়মতো এসে তা মেরামত করা হয় না। ফলে দিনের পর দিন অন্ধকারে ডুবে থাকে ওসব এলাকা। এবার শহরবাসীকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ড বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাড়িতে বসেই অভিযোগ জানানো যাবে। আর অভিযোগ জানার তিনদিনের মধ্যেই সেই পথবাতি মেরামত করে দেওয়া হবে।
প্রশাসক বোর্ডের বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্ব নিয়েই প্রথমে শহরবাসীকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার দিকটিতে নজর দিয়েছেন বোর্ড সদস্য কমল আগরওয়াল। এ জন্য তিনি বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছেন।
এবার থেকে পুরসভার বিভিন্ন এলাকার নাগরিকরা তাঁদের রাস্তার লাইট খারাপ হলে সরাসরি নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে সরাসরি ফোন করে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এরপর তিনদিনের মধ্যেই সেই লাইট মেরামত করে দেবে পুরসভা। কমলবাবু বলেন, শিলিগুড়ি শহরের নাগরিকদের এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুরসভার পাঁচটি বরোর প্রতিটিতে আলাদা আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বরোতে আলাদা ফোন নম্বর দেওয়া হচ্ছে। যে নম্বরে নাগরিকরা সরাসরি ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। এই অভিযোগ জানানোর জন্য আমরা একটি ফরম্যাট তৈরি করেছি। যে এলাকার পথবাতি খারাপ হবে সেই এলাকার নাম, ওয়ার্ডের নম্বর এবং কোন পোস্টে লাইট জ্বলছে না সেই পোস্টের নম্বর উল্লেখ করে নাগরিকদের অভিযোগ জানাতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যেই সেই পথবাতি পুরসভার কর্মীরা গিয়ে সারিয়ে দেবেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ ১০ দিন অন্তর আমরা খতিয়ে দেখব যে সেগুলির ঠিকমতো কাজ করা হয়েছে কি না।
শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েই গৌতম দেব আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল পাতার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই মতো তিনি প্রথমে দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে শিলিগুড়িতে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেন। পরবর্তীতে সেই মতো তিনি একটি প্রস্তাব বিদ্যুৎ দপ্তরে জমা দিয়েছেন। কমলবাবু বলেন, এই মুহূর্তে চেয়ারম্যানের উদ্যোগে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল পাতার বিষয়টি আশাব্যঞ্জক জায়গায় রয়েছে। এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে পথবাতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর বিষয়টি নিয়ে ট্রায়াল শুরু করেছি। তাতে পাঁচটি বরোর পুরসভার কর্মীদের নিজস্ব নম্বর এখন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা পুরসভার থেকে পাঁচটা বরোর জন্য আলাদা নম্বর অনুমোদন করব। এই সিদ্ধান্ত বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন হয়েছে।