বিদায়ী মন্ত্রীদের জায়গা হবে না পটেল মন্ত্রিসভায়? গুজরাতে অন্তর্কলহে জেরবার বিজেপি
বুধবার শপথ গ্রহণের কথা ছিল গুজরাতের ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন সরকারের। কিন্তু নয়া সরকারে ঠাঁই হবে না জানতে পেরে বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আর বিজেপির এ হেন অন্তর্কলহের জেরেই শপথ পিছিয়ে দিতে হয়।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বুধবার বেলা ২টা থেকে চারটের মধ্যে শপথ নেবে নয়া মন্ত্রিসভা। সেইমতো রাজভবন চত্বরে পোস্টারও পড়ে। কিন্তু দুপুরে রাজভবন গিয়ে সাংবাদিকরা দেখেন, লিম্বডির বিধায়ক কিরিটসিন রানার সমর্থকরা সুরেন্দ্রনগর থেকে সেখানে হাজির। রানা নতুন মন্ত্রিদের মধ্যে থাকছেন বলে খবর ছিল তাঁদের কাছে। কিন্তু ততক্ষণে শপথগ্রহণের বিজ্ঞপ্তির পোস্টার খুলে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণ বাদে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সরকারি হ্যান্ডলে টুইট করা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় শপথগ্রহণ হবে। কিন্তু পরে সেই টুইট মুছে ফেলে আবার নতুন টুইট করা হয়।
বিজয় রূপানি মন্ত্রিসভার সদস্য জনৈক বিধায়ক জানান, তাঁরা কয়েকজন মিলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানান, যখন জানতে পারেন, নয়া মন্ত্রিসভায় তাঁরা ব্রাত্য থাকছেন। তিনি বলেন, সব সিনিয়র মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হবে। নয়া মন্ত্রিসভায় একজনেরও জায়গা হবে না। তাই আমাদের সরব হতেই হয়েছে। সূত্রের খবর, প্যাটেল স্থানীয় পুরসভা নির্বাচনের টিকিট বন্টনে নতুন নিয়ম চালু করছেন যে, যাঁরা তিনটি মেয়াদ পূর্ণ করে ফেলেছেন, তাঁদের ফের টিকিট মিলবে না। এ নিয়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷
বিজেপির একটি ওপর মহলের সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরেই শীর্ষ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের মুখোমুখি বৈঠকের জন্য একে একে তলব করে জানিয়ে দেন, ফর্মূলা অনুসারে, নয়া মন্ত্রিসভায় তাঁদের জায়গা হচ্ছে না। বুধবারও রাষ্ট্রমন্ত্রীদের ডেকে একই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে গান্ধীনগরে এক শীর্ষ দলীয় নেতা বলেন, দিন বদল করা হয়েছে, বুধবার মুহূর্তটি শুভ ছিল না বলে।
কিছু বিধায়কের ক্ষোভ, প্রতিবাদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এক সিনিয়র পদাধিকারী অবশ্য বিষয়টি লঘু করে দেখিয়ে বলেন, তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য প্রতিবাদ হয়েছে বলে মনে হয় না। আর বছর ঘুরতেই যখন ভোট, তখন কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানো রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় বলে মনে হয় না। শপথ গ্রহণ এমন কোনও প্রতিবাদের জেরে পিছয়নি। আরেক নেতা জানান, কিছু বিধায়ক সময় চেয়েছেন, যাতে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে থাকার জন্য বাড়ির লোকজন আসতে পারেন। শপথ পেছনোর কারণ হতে পারে এটা।