ভবানীপুরে প্রচারে সব জাতি, ধর্ম, বর্ণের সহাবস্থানের বার্তা দিলেন মমতা
ভবানীপুরে প্রচারে ঝড় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। টুকরো টুকরো কথায় ধরা পড়ল চেনা আত্মবিশ্বাস। সব জাতি, সব ধর্ম, সব বর্ণের সহাবস্থানের স্পিরিট আছে এই বাংলায়, এমনটাই বার্তা রইল সাধারণের জন্য।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রচারের ময়দানে নামলেন মমতা। ৭২ ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মসূচীতে সারলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বললেন, “আমি চাই আমাদের গুজরাটি, মাড়োয়ারি, পাঞ্জাবি সবাই একসাথে থাকুক। এটা আমার জন্মভূমি, কর্মভূমি, আমার মাতৃভূমি।”
বলাই বাহুল্য এও এক মমতার নিজস্ব সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। কারণ হাতের তালুর মতো তিনি চেনেন ভবানীপুরকে। বিলক্ষণ জানেন সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব জাতির মানুষ বহু দশক ধরে এখানে সহাবস্থান করছে। এই স্পিরিটের কারণে অনেকে মিনি ইন্ডিয়া বলে ভবানীপুরকে। সেই ঐক্যের শক্তিটাকেই ধরতে চাইলেন মমতা।
মমতার আজ কথায় কথায়, বাংলাই আগামী দিনে দেশকে রক্ষা করবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি বিধানসভা ভোটে মেরুকরণের হাওয়া তুলে পর্যুদস্ত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ সুমসৃণ করে দিয়েছে। মমতা একই সঙ্গে মেরুকরণ বিরোধিতা করছেন আবার সর্বভারতীয় স্তরেও নিজেকে প্রজেক্ট করতে পারছেন। সম্ভবত এই কারণেই মমতা এদিন বললেন, আমার কাছে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বার্তা আমার কোনো পাবলিসিটি চাই না। আমি কারো খারাপ চাই না।কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিধতে তাঁর বার্তা, সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। রেল, সেইল সব। ওরা কিচ্ছু কিছু করে না। শুধু বড় বড় কথা বলে আর মিথ্যা কথা বলে।
ভবানীপুর বাসীর উদ্দেশ্যে ভোটপ্রার্থী ঘরের মেয়ের বার্তা, আপনারা ভালো থাকুন। প্রথমে আমার দেশ, তারপর আমি। আপনার রক্ত দেখুন, আমার রক্ত দেখুন। সব এক। আপনারা দেখুন বাংলা কেমন শান্তিতে আছে।
বাংলার উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে মমতা আরও বলছেন, সব জায়গায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলায় দেখুন সব চলছে। টিকা নিয়েও সাফল্যের পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ৮০ শতাংশ এর বেশি টিকা করণ হয়ে গেছে। কোভ্যাক্সিন যারা নিয়েছে তারা কেউ বাইরে যেতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের সূচি নিয়ে মমতার উবাচ, আপনি যাচ্ছেন যান, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাকে রোমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো, আমি যেতে পারছি না। কোভ্যাকসিন-কে ইউরোপে মান্যতা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।