আগাম ঘোষণা করেও দুয়ারে রেশনের বিরোধী কর্মসূচি ফ্লপ বিজেপির
আগাম ঘোষণা করেও আলিপুরদুয়ারে পদ্মফুল শিবির (BJP) বৃহস্পতিবার থেকে জেলাজুড়ে দুয়ারে রেশনের (Duare Ration) পাল্টা কর্মসূচি সেভাবে শুরুই করতে পারল না। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় জংশনের লিচুতলার একটি রেশন দোকানে (Ration Shop) কোনওরকম দায়সাড়াভাবে এই কর্মসূচি পালন করেই রণেভঙ্গ দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি ‘ফ্লপ’ হওয়ায় কটাক্ষ করেছে জোড়াফুল শিবির।
কেন আগাম ঘোষণার পরেও বৃহস্পতিবার থেকে জেলাজুড়ে দলের এই কর্মসূচি সেভাবে শুরু করা গেল না, এ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, পরিকল্পনা ও লোকবলের অভাবে ওই কর্মসূচি হোঁচট খেয়েছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাদের কর্মসূচি দুয়ারে রেশনের পাল্টা নয়। আজ, শুক্রবার থেকে জেলাজুড়ে প্রতিটি রেশন দোকানে তাঁদের কর্মসূচি হবে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতৃত্ব আগাম ঘোষণা করেছিল ১৬ তারিখ থেকে তাঁদের দলের অঞ্চল কার্যকর্তারা প্রতিটি রেশন দোকানে যাবেন। তাঁরা রেশন দোকানগুলিতে গ্রাহকদের বোঝাবেন রাজ্য সরকার দুয়ারে রেশনে যে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে সেই খাদ্যসামগ্রী আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গরিবকল্যাণ অন্ন যোজনার খাদ্যশস্য। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সেই খাদ্যসামগ্রীকে নিজেদের বলে চালাতে চাইছে।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি দেওয়া একটি করে ব্যাগও রেশন গ্রাহকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। ওই ব্যাগ সঙ্গে থাকলে গ্রাহকরাও বুঝতে পারবেন দুয়ারে রেশনের খাদ্যসামগ্রী আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া।
কিন্তু, আগাম ঘোষণা করেও আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়ে বিজেপি নেতৃত্ব দলীয় এই কর্মসূচি সেভাবে শুরুই করতে পারল না। তারই মধ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরপর দু’দিন দুয়ারে রেশন কর্মসূচি হয়ে গিয়েছে। মুখ রক্ষার্থে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা আহ্বায়ক ভূষণ মোদক বলেন, বৃহস্পতিবার একটি রেশন দোকান দিয়ে আমাদের দলের ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দলের বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, এটা দুয়ারে রেশনের পাল্টা কর্মসূচি নয়। আমরা মানুষকে বোঝাতে চাই দুয়ারে রেশনে যেসব খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় তা আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু, রাজ্য সেটা নিজেদের বলে চালাতে চাইছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, দুয়ারে রেশন কর্মসূচি নিয়ে ভয় পেয়েছে বিজেপি। সেই জন্য গণ্ডগোল পাকাতেই বিজেপি অযৌক্তিক এই কর্মসূচি নিয়েছে। কিন্তু, বিজেপির দিকে আর মানুষ নেই। সেই জন্যই বিজেপি এই কর্মসূচিতে লোকজন পাচ্ছে না।