রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পাচ্ছেন পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়

September 18, 2021 | < 1 min read

অনুবাদ সাহিত্যে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (Sahitya Akademi Award) পাচ্ছেন পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়। ২০২০ সালের অনুবাদকের তালিকায় দ্বিতীয়তেই রয়েছে তাঁর নাম। ‘গালিব পত্রাবলি’ অনুবাদের জন্যই অকাদেমির শিরোপা উঠেছে তাঁর মুকুটে। সিউড়ির বাসিন্দা পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়ের এই সম্মান প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত বাংলার সাহিত্যপ্রেমীরা।

৬৯ বছরের পুষ্পিতবাবু সিউড়ির বাজারপাড়ার বাসিন্দা। গত ৪০ বছর ধরে নিরলস সাহিত্য চর্চা করে যাচ্ছেন তিনি। একদিকে যেমন অনুবাদ সাহিত্যের এক বিশিষ্ট নাম তিনি, পাশাপাশি নিজস্ব মৌলিক লেখাতেও তিনি সিদ্ধিলাভ করেছেন। তাঁর সাহিত্যকীর্তির অন্যতম গালিব-সহ বিভিন্ন উর্দু সাহিত্যিকের অনুবাদ। মূলের সর অক্ষুন্ন রেখেই অনুবাদে সাবলী তিনি।

মির্জা গালিবের (Mirza Ghalib) শায়েরি নিয়ে যুগ যুগ ধরে মজে আছে বাঙালি। তাঁর শায়েরিতে বাঙালি খুঁজে পেয়েছে নিজেরই প্রেম-বিরহের জলছাপ। কিন্তু তাঁর চিঠি নিয়ে খুব বেশি চর্চা হয়নি বাংলা সাহিত্যে। গালিব তাঁর চিঠি প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে লিখেছেন , ‘আমি এই একাকিত্বে শুধু চিঠির ভরসা নিয়ে বেঁচে আছি।’ সেই মির্জা গালিবের চিঠি অনুবাদ করেছেন পুষ্পিতবাবু। বইয়ের গোড়ায় রয়েছে মির্জা গালিবের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। এরপর একত্রিশ জন ব্যক্তিকে লেখা গালিবের চিঠিগুলি সুনিপুণ দক্ষতায় বাংলায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।

এখনও পর্যন্ত তাঁর অনুবাদ করা বিভিন্ন লেখকের বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২০টি। মৌলিক প্রবন্ধ, গল্প সংকলন মিলিয়ে আরও ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। একদা সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন পুষ্পিতবাবু। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেই নিজের চেষ্টায় উর্দু-সহ একাধিক ভাষাকে রপ্ত করেছেন। এর আগে বাংলা অকাদেমি, শান্তিরঞ্জন উর্দু অকাদেমি, গল্পগুচ্ছের মতো নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

এবার তাঁর নাম বিবেচিত হল সাহিত্য অকাদেমির জন্য। কেমন লাগছে এমন সুখবর পেয়ে? পুষ্পিতবাবুর কথায়, ‘‘পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। বেঁচে থাকতে এই পুরস্কারপ্রাপ্তির সংবাদ পেলাম এটাই আনন্দের।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mirza Ghalib, #Sahitya Akademi Award

আরো দেখুন