বুধবার সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করবেন বাবুল সুপ্রিয়
বুধবারই সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন। এমনটাই জানালেন বাবুল সুপ্রিয়। আজ দক্ষিণ কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আমি বাংলার জন্য অনেক কাজ করেছি। আগেও করেছি, এখনও করব। আমার মনে হয় বিজেপি-কে নিয়ে কী সমস্যা ছিল, তা আমি স্পষ্ট করে আগেও লিখেছি। আমি আসানসোলের আসন ছেড়ে দেব, সাংসদ পদে থাকব না। আসানসোলে যেমন রাস্তায় বসে চা খেয়েছি, তেমনই এক্ষেত্রেও করব। আমাকে দলের হয়ে কাজ করতে হবে।
এদিন বাবুলের তৃণমূলে যোগ সম্পর্কে সৌগত রায় বলেন, আমি অনেকদিন ধরে বাবুলকে চিনি। ওঁর গান শুনেছি। আমি বাবুলের গুণমুগ্ধ। বাবুলের আসা আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দেবে। আমাদের কর্মীরা খুব উৎসাহিত। বাবুলের গ্রহণযোগ্যতা আছে বাঙালির কাছে। বাবুল আসায় আমরা লাভবান হয়েছি।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হওয়ার কথা আছে বাবুলের। তিনি জানান, তৃণমূলে যোগদানের অনুঘটক ডেরেক। আমি প্রথম একাদশে থাকতে চাই, বললেন বাবুল। আমি তৃণমূলের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি যে দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল ছিল না, সেখান থেকে আমি অনেক ভালবাসা পেলাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতাদিদি আমাকে কাছে টেনে নিয়েছেন।
প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন কি না, আজ তাও জানালেন বাবুল। বললেন, প্রিয়ঙ্কা লড়াকু মেয়ে। আমাকে বিড়ম্বনায় না ফেলতে বলব দলকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বাবুল সুপ্রিয়র কোনও প্রয়োজন নেই। আমার তৃণমূল স্তরে যে যোগাযোগ আছে, তা অনেকেরই নেই। তবে অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই, আমি বিজেপি-র কর্মী ছিলাম। যে দলের লোক ছিলাম, সে দলের হয়েই বলতাম।
এদিন দিলীপ ঘোষের তীব্র সমালোচনা করেন বাবুল। বললেন, ‘‘ যাঁরা আমাকে পর্যটক বলছেন, তাতে আমার বিশেষ কিছু আসে যায় না। আমাকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে, তার উত্তর আমি দিতে পারব না, উত্তর দল দেবে। আমার কোনও পোস্ট যদি বিড়ম্বনায় ফেলে, তাহলেও আমি সরব না। তবে আপনারা যদি জানতে পারেন, আমাকে জানাবেন, আমি চুপচাপ ডিলিট করে দেব।”