বাবুলকে বিশ্বাসঘাতক বললেন তথাগত, পাল্টা দিলেন আসানসোলের সাংসদও
পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুলে এসেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আর এই ‘ফুলবদলের’ পরই শুরু বাবুল সুপ্রিয়-তথাগত রায়ের টুইট যুদ্ধ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy)। পালটা তাঁর টুইটের ভাষা নিয়ে তোপ দাগলেন বাবুল। আসানসোলের সাংসদ টেনে আনলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর মন্তব্যও।
শনিবার দুপুরে জল্পনার অবসান করে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সম্পাদকের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। তার পরে নানা মহল থেকে কটাক্ষ ভেসে আসছিল। কেউ তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, তো কেউ বলেছেন নিজের স্বার্থপূরণ করতেই রাজনীতি করেছেন বাবুল। যদিও এসমস্ত কটাক্ষ তাঁর উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ। তার পরেও অবশ্য তথাগত রায়ের সঙ্গে টুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
শনিবার সন্ধেয় তথাগত রায় টুইটারে লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে বিপদে ফেলেছে বিশ্বাসঘাতকরা। বেচারা বাবুল সুপ্রিয়র উপর রাগ করে আর কী হবে? ও তো প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয়! শেষও নয়। কিন্তু মতাদর্শ চিরন্তন। ব্যক্তিপূজা কখনো মতাদর্শকে হারাতে পারবে না। বিপদ কেটে যাবে।” ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, ঘুরিয়ে বাবুলকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ শানিয়েছেন তথাগত। পালটা দিয়েছেন বাবুলও।
স্বপন দাশগুপ্তের মন্তব্য টেনে টুইটারে আসানসোলের সাংসদ লেখেন, “আপনি কী লিখেছেন এবং স্বপন দাশগুপ্ত কী লিখেছেন, কোন ভাষায় লিখেছেন, সেটা দেখুন। স্বপনবাবু তাঁর আভিজাত্য বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আপনার বিষয়টি দুঃখজনক।” বাবুল আরও লেখেন, “টুইটের ভাষা এবং বিষয় আপনার বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। রাজ্যপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন, তা ভেবেই টুইট করা উচিত ছিল। আপনাকে আমি জানি বলেই একথা বলছি।”
বাবুলকে বিজেপির সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর দলবদল দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে লেখেন, “রাজনীতিতে পুনঃপ্রবেশের জন্য বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্তে দুঃখ পেলাম। রাজনীতিতে থাকতে হলে ধৈর্য রাখতে হয়। কিন্তু বাবুল পারলেন না। তাঁর বড্ড তাড়া ছিল। কিন্তু এতে তাঁর নিজের ভাবমূর্তিই নষ্ট হল।” সবমিলিয়ে বাবুলের দলববদল ঘিরে এখনও উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি।